ত্রয়ণ চক্রবর্তী, কলকাতা: শারদোৎসব হোক বা দীপাবলি উৎসবের সময় মার্কসীয় সাহিত্যের স্টল দিতে দেখা গিয়েছে সিপিআইএম বামদলগুলিকে। তবে এবারের দীপাবলির সময় বিভিন্ন জায়গায় বুকস্টল হলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে চিরাচরিত নামের। এবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্রোহকালের বইঘর’। পুজোর সময় দলীয় বইয়ের স্টল দেওয়া বামদলগুলির চিরাচরিত রীতি।
পুজো মণ্ডপের মানুষের সঙ্গে উৎসবে অংশ না নিয়ে বুক স্টলে বসে থাকা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে সিপিআইএম (CPIM) তথা বামদলগুলির মধ্যেই। সেইসঙ্গে চিরাচরিত ভারী নাম মার্কসীয় সাহিত্যে স্টল, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই অবস্থা থেকে কী সরছে সিপিআইএম, আরজি কর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে সিপিআইএম ছাত্র-যুবরা অনেকটাই সামনের সারিতে থেকেছে। অভয়ার মৃতদেহ আটকানো থেকে আরজি কর হাসপাতালের কাছে টানা ধর্নাও চালিয়েছে আলিমুদ্দিনের ছাত্র-যুব-মহিলা বাহিনী।
আরও পড়ুন:https://tribetv.in/man-allegedly-attacked-by-stabbing-in-kolkata/
এবার দীপাবলিতে (Deepavali 2024) তাদের বুকস্টলের নামেরও পরিবর্তন এনেছে। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গা হওয়া বুক স্টলগুলির নাম দেওয়া হয়েছে। দ্রোহকালের বইঘর। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে তারা যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তা বোঝাতেই এমন উদ্যোগ বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/another-picture-of-ghatal-flood/
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/terrorist-attack-in-jammu-and-kashmir-army-kill-all-3/
সম্প্রতি সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmay Bhattacharya) বিরুদ্ধে অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি, ধাক্কা খেয়েছে ভাবমূর্তিও। তৃণমূল-বিজেপি প্রচারেও নেমেছে তা নিয়ে। যদিও সিপিআইএম সাসপেন্ড করে আভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রোহকালের বুকস্টল থেকে কী নিজেদের পালে হাওয়া টানতে পারবে আলিমুদ্দিন? উত্তর দেবে সময়।