ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রবিবার সকাল থেকেই হাওড়া স্টেশন ও তার (CPM Brigade Rally 2025) আশপাশের এলাকা যেন এক আন্দোলনের মঞ্চ। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বামেদের সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ঢল নেমেছে কর্মী-সমর্থকদের। তবে হাওড়ায় এসে বহু মানুষ পড়েছেন সমস্যায়—অভিযোগ, ফেরি পরিষেবা হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় আটকে পড়েছেন বহু বামপন্থী। এই ঘটনায় প্রশাসনের উদ্দেশ্য নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। অভিযোগ, জনসমাগম কমানোর জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে এই সিদ্ধান্ত।
মানুষের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না (CPM Brigade Rally 2025)
সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মতে, এই ধরনের বাধা সৃষ্টি করে মানুষের কণ্ঠ রোধ করা (CPM Brigade Rally 2025) যাবে না। ব্রিগেড সমাবেশ শুধুই একটা রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বরং এটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদার লড়াইয়ের প্রতীক। সমাবেশের কেন্দ্রীয় মুখ্যদের একজন, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, যিনি বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, তাঁর শহর কুলটি থেকে ভোর হতেই ট্রেন ধরে রওনা দিয়েছেন বহু সমর্থক। কুলটি ছাড়াও সীতারামপুর, বরাকর, এবং আসানসোল থেকে ভিড় জমেছে অগ্নিবীণা ও কোল্ডফিল্ড এক্সপ্রেসে। সাধারণ কামরায় উঠেছেন মিনাক্ষীর বাবা মনোজ মুখোপাধ্যায়ও, যিনি একসময় দলের জেলা কমিটিতে দায়িত্বে ছিলেন, এখন এরিয়া কমিটির সদস্য।
ফেরি পরিষেবা বন্ধ (CPM Brigade Rally 2025)
রওনার আগে তিনি জানান, “গরিব খেটে খাওয়া মানুষের যে করুণ অবস্থা, তার বদল (CPM Brigade Rally 2025) আনতেই আজকের এই ব্রিগেড সমাবেশ। এটা সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা বলার মঞ্চ।” তিনি আরও বলেন, মঞ্চে মিনাক্ষী উপস্থিত থাকবেন কি না, তা দলই ঠিক করবে।এদিকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছেই ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বহু বাম সমর্থক। তাঁদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবেই সমাবেশে পৌঁছনোর রাস্তাগুলি আটকানোর চেষ্টা চলছে। “আমরা প্রতিবন্ধকতা ভেঙে এগোতে জানি,” বললেন এক প্রবীণ কর্মী, “পথ আটকালে আমরা রাস্তা বানাব।”
ব্রিগেডের দিকে রওনা…
ব্রিগেডের দিকে রওনা দিয়েছে সাত-সাতটি মিছিল। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির লক্ষ্যই হলো মেহনতি মানুষের কথা সমাজের মূল আলোচনায় নিয়ে আসা। যদিও বক্তাদের তালিকায় এদিন মিনাক্ষীর নাম নেই, তবে উপস্থিতির দিকে তাকিয়ে স্পষ্ট—জনগণের অংশগ্রহণে কোনও ঘাটতি নেই।
এই রবিবারের ব্রিগেড কেবল এক রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটি এক চেতনার বহিঃপ্রকাশ—যেখানে বাধা নয়, আন্দোলনই শেষ কথা।