ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গাজা এখন যেন ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে (Crisis in Gaza) একটি বেঁচে থাকার লড়াইয়ের নাম। একদিকে লাগাতার ইজরায়েলি গোলাবর্ষণ, অন্যদিকে ভয়ঙ্কর খাদ্যসঙ্কট-এই দুইয়ের চাপে দমবন্ধ হয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ নিরীহ প্যালেস্টাইনির জীবন। গাজার যেসব মানুষ কোনওভাবে শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই পেয়েছেন, তারাও যেন মৃত্যুর মুখে। কারণ, ত্রাণের লাইনে দাঁড়ানোও সেখানে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
অপুষ্টির কারণে ২১টি শিশুমৃত্যু (Crisis in Gaza)
আল-শিফা হাসপাতালের ডিরেক্টর মহম্মদ আবু সালমিয়ার দেওয়া (Crisis in Gaza) তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র তিন দিনের মধ্যে অপুষ্টির কারণে ২১টি শিশুমৃত্যু ঘটেছে। শিশুদের এমন অনাহার ও মৃত্যুর খবর যেন সভ্যতার গালে চপেটাঘাত। প্রতিদিনই হাসপাতালে অনাহার ও অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে।
ত্রাণশিবির যেন মরণফাঁদ (Crisis in Gaza)
গাজার বিভিন্ন ত্রাণশিবির যেন পরিণত হয়েছে (Crisis in Gaza) মরণফাঁদে। ত্রাণ নেওয়ার আশায় যারা আসছেন, তারা ফিরছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে কিংবা খালি হাতে। দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসির শিবিরের বাসিন্দা আয়েদ জামালের বক্তব্য অনুযায়ী, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় আচমকাই ইজরায়েলি সেনার ট্যাঙ্ক থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। চোখের সামনে তিনজনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। জামাল ত্রাণ হিসেবে পেয়েছেন কেবল দু’টি খালি বাক্স।
মানুষ ছুটছেন খাবারের খোঁজে
গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি ত্রাণ সংস্থা চারটি এলাকায় ত্রাণকেন্দ্র পরিচালনা করছে। তাল আল-সুলতান, সৌদিপাড়া, ওয়াদি গাজা এবং খান ইউনিস-এই সব এলাকাতেই আগেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইজরায়েলি সেনা। ফলে শিবির থেকে দীর্ঘপথ পেরিয়ে প্রাণ হাতে নিয়ে মানুষ ছুটছেন খাবারের খোঁজে।
আরও পড়ুন: Daily Horoscope: কেমন কাটবে মঙ্গলবার? কী বলছে আজকের রাশিফল

সময়ের সমস্যা
জিএইচএফ-এর বিতরণ কেন্দ্রগুলির আরেকটি সমস্যা হল সময়। দৈনিক মাত্র একবার, গড়ে আট থেকে এগারো মিনিটের জন্য এই কেন্দ্রগুলি খোলা থাকে। ফলে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। মার্চ থেকে শুরু হওয়া অবরোধ এখনও কার্যকর। সাময়িকভাবে কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে পারলেও, সেই সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব বলছে, মে মাস থেকে আজ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১,০০০-এর বেশি মানুষ।