ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আবারও লিভ-ইন পার্টনারের হাতে খুন প্রেমিকা। গুজরাটে লিভ-ইন পার্টনার মহিলা পুলিশ অফিসারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে সিআরপিএফ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে(CRPF Jawan)।খুনের পর তিনি প্রেমিকা যে থানায় কর্তব্যরত ছিলেন, সেখানে গিয়েই আত্মসমর্পণ করেন।
সম্পর্কের সূত্রপাত (CRPF Jawan)
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের কচ্ছ জেলায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানের নাম দিলীপ ডাংচিয়া(CRPF Jawan)। তাঁর সঙ্গে প্রেম ছিল কচ্ছের অঞ্জর থানায় কর্মরত মহিলা অফিসার অরুণা নাটুভাই যাদবের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে অরুণার পৈতৃক বাড়ি সুরিন্দরনগরে। কিন্তু তাঁর পোস্টিং ছিল অঞ্জরে। ২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামে তাঁর আলাপ হয় দিলীপের সঙ্গে। ক্রমে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন।সম্প্রতি তারা দুজনেই বিয়ে করার পরিকল্পনা করছিলেন।

প্রেমিকার মৃতদেহের সঙ্গে রাত্রিবাস (CRPF Jawan)
পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে ২৫ বছর বয়সি অরুণাবেন এবং দিলীপের মধ্যে তীব্র বচসা হয়(CRPF Jawan)। সেই সময় অরুণাবেন দিলীপের মাকে কুমন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এরপরই রাগের বশে দিলীপ অরুণার গলা টিপে ধরে এবং তাঁকে দম বন্ধ করে খুন করে। রাতটুকু প্রেমিকার মৃতদেহের সঙ্গেই কাটান দিলীপ। এরপর সকাল হতেই হাজির হন আঞ্জার পুলিশ স্টেশনে। পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা স্বীকারও করেন তিনি।জানা গেছে, অভিযুক্ত দিলীপ তিনি মণিপুরে কর্মরত থাকলেও অরুণার গ্রামের পাশের গ্রামে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন অরুণাবেন।
আরও পড়ুন-Mumbai Local Train: ‘মারাঠি না জানলে শহর ছাড়ো!’ মুম্বই লোকালে আসন নিয়ে নিগ্রহের শিকার মহিলা
অভিযুক্ত গ্রেফতার (CRPF Jawan)
আঞ্জার বিভাগের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মুকেশ চৌধুরী বলেছেন, ‘২০২১ সালে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অরুণার সঙ্গে দিলীপের আলাপ হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন করছিলেন। দু’জনে বিয়ে করার পরিকল্পনাও করেছিলেন।’ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দিলীপকে। কেন তিনি এমন কাজ করলেন তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুরো বিষয়টাই।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান (CRPF Jawan)
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে এক ব্যক্তি হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢোকেন(CRPF Jawan)। সেই থানাতেই কাজ করতেন অরুণা। ওই ব্যক্তি কর্মরত পুলিশ আধিকারিককে জনান, লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করেছেন। আর তাঁর সঙ্গী এই থানাতেই কর্মরত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে দু’জনের মধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচি হচ্ছিল। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অরুণার দেহ নিয়ে ঘরেই বসেছিলেন দিলীপ। তার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
