ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বড়বাজারের মেছুয়াবাজার ফলপট্টির ‘ঋতুরাজ হোটেলে’ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল ১৪ জনের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ আগুন লাগে এই ঘিঞ্জি এলাকার হোটেলে (Deadly Fire)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জন ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান, আর একজন প্রাণ বাঁচাতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারান।
নগরপাল মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, প্রবল ধোঁয়ার কারণে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। বুধবার ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিক টিম।
একটিমাত্র সিঁড়ি? ছিল না ইমার্জেন্সি এক্সিট? (Deadly Fire)
স্থানীয়দের অভিযোগ, হোটেলে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা বলতে ছিল একটাই সিঁড়ি। ছিল না কোনও ইমার্জেন্সি এক্সিট। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়া ও আগুনের ফাঁদে আটকে পড়েন বহু আবাসিক (Deadly Fire)। কারও মৃত্যু হয়েছে ঘরের ভিতরে, কেউ পড়ে গিয়েছেন ছাদ বা কার্নিস থেকে।
রান্নাঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত? (Deadly Fire)
৬ নম্বর মদনমোহন বর্মন স্ট্রিটের ওই হোটেলের নিচে রয়েছে দোকান ও গুদাম। স্থানীয়দের দাবি, রাত সওয়া ৮টা নাগাদ রান্নাঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায়। হোটেলে ছিল ৪৭টি ঘর, যার মধ্যে ৪২টি ঘরে ৮৮ জন আবাসিক ছিলেন। বেশিরভাগই ভিনরাজ্য থেকে কাজের খোঁজে কলকাতায় আসা মানুষ।
দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, উদ্ধারকাজ রাতভর (Deadly Fire)
দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লড়াই করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বহু মানুষ হোটেলের ছাদে আশ্রয় নেন, মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে সাহায্যের বার্তা পাঠান। দমকলের মই ও ল্যাডার দিয়ে তাঁদের পাশের বাড়ির ছাদে নামিয়ে আনা হয়। প্রাণ বাঁচাতে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
হাসপাতালে আহত, মৃতদের মধ্যে ৮ জনের দেহ শনাক্ত (Deadly Fire)
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের RG কর, NRS এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে রাতেই পৌঁছন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভর্মা ও মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার নেপথ্যে গাফিলতি ছিল কি না, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর ছিল কি না — সবকিছুই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।