ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা (Dhankhar No Confidence) প্রস্তাব খারিজ। গত সপ্তাহে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদরা একত্রিত হয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। প্রস্তাবে ‘ত্রুটি’ রয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয় সাফ জানালেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান।
প্রস্তাব খারিজ (Dhankhar No Confidence)
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির আনা অনাস্থা (Dhankhar No Confidence) প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ। গত সপ্তাহে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাংসদরা একত্রিত হয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। তবে, বৃহস্পতিবার হরিবংশ নারায়ণ সিংহ বলেন, ধনখড়ের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ‘প্রচুর ত্রুটি’ রয়েছে, যা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, এই অনাস্থা প্রস্তাব তাড়াহুড়ো করে এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পেশ করা হয়েছে।
কবে এল অনাস্থা? (Dhankhar No Confidence)
গত ১০ ডিসেম্বর, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যরা একত্রিত হয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রাজ্যসভায় জমা দেন। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি সহ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমস্ত শরিক দল এতে সমর্থন জানায়, এবং ৬০ জন সাংসদ এই প্রস্তাবে সই করেন। সেটি জমা দেওয়া হয় রাজ্যসভার সচিবালয়ে।
কী নিয়ম?
জগদীপ ধনখড় দেশের উপরাষ্ট্রপতি। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। সেই সূত্রেই তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে ১৪ দিনের নোটিস দিতে হয়, সেই নিয়ম মেনে নোটিস দেয়নি বিরোধীরা। এই অজুহাতে অনাস্থা জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ।
অপসারণ সম্ভব?
তবে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে অপসারণ করানো বিরোধীদের পক্ষে সহজ হবে না, শুরু থেকেই তাঁরই আভাস মিলেছিল। নিয়ম অনুসারে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের অপসারণের জন্য অনাস্থা প্রস্তাবটি সবার প্রথমে রাজ্যসভায় পেশ করতে হবে। সেখানে সাংসদদের ভোটাভুটিতে ধনখড়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত প্রয়োজন আছে। তারপর সেটি পেশ হবে লোকসভায় । সেখানেও একই ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে মত প্রয়োজন। কিন্তু সাংসদ-সংখ্যার বিচারে ‘ইন্ডিয়া’র একক ভাবে ধনখড়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ মত তৈরি সম্ভব ছিল না।
বানান ভুল
ধনখড়ের নামের বানানও নাকি সঠিকভাবে লেখা হয়নি, যা আরও একটি ত্রুটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কি হার নিশ্চিত ছিল বলে গোটাটাই নাটক করলেন মল্লিকার্জুন খাড়গেরা? চর্চা চলছে জনমানসে।