ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আসন্ন অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ (Digha Jagannath Dham) মন্দিরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দেবতার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। এই উপলক্ষে সোমবার দুপুরেই দিঘায় পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চেপে দিঘায় নামেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
মন্দিরে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী (Digha Jagannath Dham)
দিঘায় পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই মন্দির চত্বর পরিদর্শন করেন এবং মন্দিরের স্থাপত্য ও পরিবেশ (Digha Jagannath Dham) দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মন্দিরে উপস্থিত পুরোহিতদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই মন্দিরে ‘অধ্যাত্মবাদ ও সম্প্রীতি’র অনন্য মিলন ঘটেছে। মন্দিরের নির্মাণশৈলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি বাংলার প্রাচীন স্থাপত্যকলার এক গর্বের প্রতীক এবং একটি নতুন কৃষ্টির সূচনা।”
মঙ্গলবার মহাযজ্ঞ (Digha Jagannath Dham)
অক্ষয় তৃতীয়ার আগের দিন, মঙ্গলবার, আয়োজিত (Digha Jagannath Dham) হবে মহাযজ্ঞ। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে মন্দির চত্বরে চারটি কুণ্ডের মাঝে একটি মহাকুণ্ডে চলছে যজ্ঞ। পুরীর মন্দিরের রাজেশ দয়িতাপতির তত্ত্বাবধানে এই আয়োজনে মন্ত্রোচ্চারণ ও দেবতাদের আরাধনা চলছে। ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাসের নেতৃত্বে ৬০ জনেরও বেশি ভক্ত মাঙ্গলিক কার্যকলাপে যোগ দিয়েছেন।
গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাকে আহ্বান
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং সুদর্শনের দুগ্ধস্নান। অন্যান্য দেবী-দেবতাদেরও এই পবিত্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। গোটা মন্দির চত্বর জুড়ে বাজছে মাঙ্গলিক সানাইয়ের সুর, সৃষ্টি হয়েছে এক অনন্য আধ্যাত্মিক আবহ।

বিশেষ অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা
এই বিশেষ অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তার দিকেও রাখা হয়েছে কড়া নজর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৮০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন মন্দির এলাকা ও আশপাশে। পাশের জেলাগুলো থেকেও আনা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পুরনো দিঘা থেকে নিউ দিঘার জগন্নাথধাম পর্যন্ত ১১৬বি জাতীয় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Akhshay Tritiya: অক্ষয় তৃতীয়ায় পালন করুন এই নিয়মগুলি, ডেকে আনুন সুখ, সমৃদ্ধি ও শ্রীবৃদ্ধি
দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থানের উন্মোচন হচ্ছে না, বরং পর্যটনের ক্ষেত্রেও এটি একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করে বলেন, “সমুদ্র ও তীর্থস্থানের যুগলবন্দি পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করবে।” এই উৎসবের আবহে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, সবাই যেন শান্তি, ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করেন।