ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার আলোচনায় (Dilip Ghosh Marriage) এসেছেন, বিতর্কে থেকেছেন, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবর আড়ালে রেখেছেন দিলীপ ঘোষ। এবার সেই আড়াল ভেঙে সামনে এল এক নতুন অধ্যায়—ঘর বাঁধছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার, একান্ত ঘরোয়া আয়োজনে নিউ টাউনের বাসভবনেই তাঁর ও রিঙ্কু মজুমদারের চার হাত এক হওয়ার কথা।
সংসারজীবনের পথে পা বাড়াচ্ছেন (Dilip Ghosh Marriage)
বহুদিন ধরেই রাজনীতির ময়দানে দিলীপ ঘোষ এক (Dilip Ghosh Marriage) পরিচিত মুখ। তবে কৌমার্য নিয়ে তাঁকে নিয়ে কৌতূহলও কম ছিল না। এবার সেই ‘চিরকুমার’ তকমা সরিয়ে রেখে সংসারজীবনের পথে পা বাড়াচ্ছেন তিনি। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার—রাজনৈতিক পরিসরে আলাপ, পরে তা রূপ নেয় বন্ধুত্বে। গত লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়া দিলীপকে জীবনসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেন রিঙ্কু। প্রথমে রাজি না হলেও, ধীরে ধীরে পারিবারিক চাপে এবং নিজের ভাবনার পরিবর্তনে শেষমেশ সম্মতি দেন তিনি।
ঘনিষ্ঠ মহলের মতে… (Dilip Ghosh Marriage)
ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, দিলীপ ঘোষের মা দীর্ঘদিন ধরেই চাইতেন ছেলেকে (Dilip Ghosh Marriage) সংসারী করতে। বয়স হয়েছে, রাজনীতির চাপও রয়েছে, এমতাবস্থায় একজন আপন মানুষ পাশে থাকা দরকার—এই বাস্তবতা তিনিও উপলব্ধি করেন। বিশেষত, মায়ের দেখভাল ও নিজের অনুপস্থিতিতে বাড়ির দেখভালের জন্যও একজন জীবনসঙ্গী প্রয়োজন বলেই মনে করেন দিলীপ।

পাত্রী কে?
‘পাকা কথা’ নাকি হয়ে যায় ৩ এপ্রিল ইডেন গার্ডেনসে কেকেআর বনাম সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ দেখতে গিয়ে। ক্লাব হাউসের বক্সে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ, রিঙ্কু এবং রিঙ্কুর পরিবার। রিঙ্কু একজন গৃহবধূ, এক বিবাহবিচ্ছিন্না, তাঁর পুত্র তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত। তিনিও ছিলেন সেই ম্যাচে।
আরও পড়ুন: Skin Care Tips: গরমে ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার, এই পানীয় রূপচর্চায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
বিজেপির অন্দরে নানা গুঞ্জন!
বিয়ে নিয়ে বিজেপির অন্দরে নানা গুঞ্জন চললেও দিলীপ ঘোষ বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে চাননি। তবে শেষমেশ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়ে মজার ছলে বলেন, “বিয়ে করা কি অপরাধ নাকি?” যদিও সরাসরি কিছু বলেননি, তবু তাঁর ভঙ্গিমাই অনেক কিছু স্পষ্ট করে দেয়।
সবাই এই সিদ্ধান্তে খুশি নন!
অবশ্য সবাই এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। সঙ্ঘের একাংশ দিলীপকে বোঝাতে চেয়েছেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য, এমনও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দিলীপ অনড়। এবার তিনি সংসারী জীবনের পথে হাঁটতে প্রস্তুত। অনুষ্ঠান হবে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে, আহ্বান জানানো হয়েছে শুধু কাছের মানুষজনকে। আড়ম্বর নয়, এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে আন্তরিকতায়—ঠিক যেমন দিলীপ ঘোষ নিজে। রাজনৈতিক জীবনের বাইরে এক নতুন পরিচয়ে তাঁকে দেখতে চলেছে বাংলা।