ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মাত্র ২৮ দিন আগেই খড়্গপুরে (Dilip Ghosh Wedding) রাস্তাঘাটে উত্তেজনার পারদ চড়িয়েছিল তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বাগ্যুদ্ধ। প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ মেজাজ হারিয়ে দিয়েছিলেন ‘বাপবাপান্ত’, শুনতে হয়েছিল ‘গলা টিপে দেব’। তবে সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতির রেশ এখন আর নেই। রাজনীতির সেই সংঘর্ষ যেন রঙ বদলে নিয়েছে শান্তির বার্তায়।
রাজনীতির বিভাজন ভুলে শুভেচ্ছা (Dilip Ghosh Wedding)
গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন (Dilip Ghosh Wedding) দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিয়ে করেছেন তাঁর দলেরই নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারকে। বিবাহ উপলক্ষে রাজনীতির বিভাজন ভুলে অনেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন—তাঁর দলীয় সহকর্মী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও।
এবার হয়তো মহিলাদের সম্মান করবেন (Dilip Ghosh Wedding)
এই তালিকায় চমক জাগিয়েছেন খড়্গপুরের তৃণমূল কর্মী প্রীতি (Dilip Ghosh Wedding) কারার। যিনি মাসখানেক আগেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গলা তুলেছিলেন, তিনিই এখন জানাচ্ছেন, দিলীপ ঘোষ খড়্গপুর ফিরলে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে চান। তবে দল অনুমতি দিলেই কেবল এই শুভেচ্ছা প্রদান সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রীতি। তাঁর কথায়, “উনি এলে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাব। তবে দল যদি অনুমতি দেয় তবেই যাব।” সেই সঙ্গেই একটা কটাক্ষও রাখতে ভোলেননি তিনি, “আশা করি, মহিলাদের গলায় আর ‘পা তুলে দেব’ বলবেন না উনি। এবার হয়তো মহিলাদের সম্মান করবেন।”

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ
প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ খড়্গপুর শহরের ভবানীপুর মাঠপাড়ায় একটি রাস্তার উদ্বোধনে গিয়ে দিলীপ ঘোষ মহিলা তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, সাংসদ থাকাকালীন তাঁকে লোকসভা কেন্দ্রে দেখা যেত না, অথচ এখন পদে না থেকেও তিনি উদ্বোধনে এলেন কেন? এই প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাস্তা তৈরির জন্য আমি টাকা দিয়েছি। কারও বাপের টাকা নয়।” এরপরই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুই পক্ষের মধ্যে, দিলীপের বিতর্কিত মন্তব্য—“বেশি চেঁচাবে না, গলায় টিপে দেব!”
আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya: আপনার পার্টি দাঙ্গাবাজ… নওশাদকে সরাসরি কটাক্ষ দেবাংশুর!
উত্তাপ এখন প্রশমিত
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে পথে নামে তৃণমূল। দিলীপ ঘোষের বাংলোর সামনে বিক্ষোভও হয়। তবে সেই দিনগুলোর উত্তাপ এখন কিছুটা প্রশমিত। তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা জানাচ্ছেন, “ওঁর বিবাহিত জীবন সুখের হোক। খড়্গপুরে ফিরলে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাব। সেই সঙ্গে আমরা আশা করি, এ বার মহিলারা ওঁর কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পাব।”