ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলা সিনেমায় প্রায় বিপ্লব এনেছিলেন এক পরিচালক(Director Swapan Saha)। একের পর এক সুপারহিট বাংলা সিনেমা উপহার দিয়ে গেছে আপামোর বাঙ্গালীকে যিনি। সে এক সময় ছিল, দুপুরে খাবার পর মা কাকিমারা বসতেন সিনেমা দেখতে। যে সিনেমা গুলির হয়তো বেশিরভাগেরই নির্মাতা হলে এই পরিচালক। এখনকার নতুন নতুন সিনেমার মধ্যে কোথাও যেন সেই সব সিনেমা হারিয়ে গেলেও আমাদের আগের প্রজন্মের কাছে সেগুলো আজও জনপ্রিয়। এই পরিচালক তাঁর সৃষ্টি কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন আজীবন। তিনি হলেন পরিচালক স্বপন সাহা। ‘জীবনকৃতি’ পুরস্কার পেলেন তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় বার্ষিক উৎসব (Director Swapan Saha)
১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি, বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এর তৃতীয় বার্ষিক উৎসব আয়োজিত হলো। সেখানেই শতাধিক সফল বাংলা ছবির এই পরিচালককে ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। পুরস্কার তুলে দিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেখানেই ‘জীবনকৃতি’ পুরস্কার তুলে দেওয়া হল পরিচালক স্বপন সাহাকে(Director Swapan Saha)। তিনি হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের একজন প্রখ্যাত পরিচালক, যিনি প্রায় ১০০-টির কাছাকাছি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল পরিচালনার সূত্রপাত স্বপন সাহার হাত ধরে ঘটে।
‘বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বেশ পিছিয়ে পড়েছে’ (Director Swapan Saha)
অনুষ্ঠানে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অভিমত জানালেন স্বপন বাবু(Director Swapan Saha)। তিনি বললেন, ‘বর্তমানে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বেশ পিছিয়ে পড়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আগে বছরে যে পরিমাণ ছবি তৈরি হতো, এখানে এখন তা হচ্ছে না। তার উপর সিঙ্গল মুভি হাউজ়গুলো এখন যথেষ্ট সংকটে আছে। বাংলা সিনেমা পিছিয়ে যাওয়ার এটাও বড় কারণ। মনে রাখতে হবে, ওই সব সিঙ্গল হাউজ় থেকেই আমরা সিনেমার ব্যবসা পেয়েছি। তখন তো আর মাল্টিপ্লেক্স ছিল না। সিনেমা হলগুলো সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সিঙ্গল স্ক্রিন আর নেই বললেই চলে। সত্যিই সিনেমার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছে’।
আরও পড়ুন: Chhaava: বক্স অফিসে অশ্বমেধের ঘোড়া ‘ছাবা’, পঞ্চম দিনে কত আয় করল ভিকির ছবি?
উল্লেখযোগ্য সিনেমা
প্রায় ১০০-টির কাছাকাছি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন স্বপন সাহা। তিনি সত্যিই বাংলা সিনেমায় ইতিহাস গড়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হল সুজন সখী (১৯৯৫), নাগিনকন্যা (১৯৯৫), ভাই আমার ভাই (১৯৯৬), ঝিনকুমালা (১৯৯৬), সখী তুমি কার (১৯৯৬), আদরের বোন (১৯৯৭), কমলার বনবাস (১৯৯৭), বকুল প্রিয়া (১৯৯৭), মায়ের দিব্বি (১৯৯৭), মায়ার বাঁধন (১৯৯৭), নাগ নাগিনী (১৯৯৮), ঘরের লক্ষ্মী (১৯৯৮), বাবা কেন চাকর (১৯৯৮), শিমুল পারুল (১৯৯৮), স্বামীর আদেশ (১৯৯৮), সত্যম শিবম সুন্দরম (১৯৯৯), সন্তান যখন শত্রু (১৯৯৯), মধু মালতি (১৯৯৯), কাঞ্চনমালা (১৯৯৯), সাতভাই (২০০০), গরিবের সংসার (২০০০), এই ঘর এই সংসার (২০০০), ভালোবাসি তোমাকে (২০০০), জবাব চাই (২০০১), গুরু শিষ্য (২০০১), স্ত্রীর মর্যাদা (২০০২), শত্রুর মোকাবিলা (২০০২),কুরুক্ষেত্র (২০০২) ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: Ranveer Allahbadia: আপত্তিকর প্রশ্ন করে ক্ষমা চাইলেন রণবীর আল্লাহবাদিয়া?
পুরস্কার তুলে দিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
প্রবাদপ্রতিম পরিচালক স্বপন সাহার(Director Swapan Saha) হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। স্বপন সাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘আমার হাত দিয়ে তাঁকে এই সম্মান তুলে দেওয়া আমার জীবনের এক বিশাল প্রাপ্তি। সত্যি বলতে, আমার কেরিয়ারে যাঁর অনেক বড় অবদান আছে। আমার অভিনীত অনেক সুপারহিট ছবি স্বপনদার হাতে তৈরি। উনিই তো আমাকে ‘মাস অডিয়েন্স’-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন।’