ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চলতি বর্ষা কিংবা গ্রীষ্মের (Disney Rash) ভ্যাপসা গরমে অনেকে হঠাৎ করেই পায়ের ত্বকে অস্বস্তিকর র্যাশ, লাল ফোস্কা বা ব্যথার সম্মুখীন হচ্ছেন। কেউ কেউ একে ঠাট্টার ছলে ‘ডিজনি র্যাশ’ বলে ডাকলেও বিষয়টি কিন্তু একেবারে অবহেলার নয়। অতিরিক্ত হাঁটাচলা, দৌড়াদৌড়ি বা শারীরিক পরিশ্রমের কারণে পায়ের নিচের অংশে এই ধরনের চর্মসমস্যা দেখা দিতে পারে।
সংক্রামক নয় (Disney Rash)
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই র্যাশের (Disney Rash) নাম Exercise-Induced Vasculitis (EIV)। অতিরিক্ত শরীরচর্চা বা হাঁটার ফলে পায়ের রক্তনালিতে চাপে সূক্ষ্ম রক্তজালিকা ফেটে গিয়ে সেখানে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এর ফলেই ত্বকে লালচে বা বেগুনি ছোপ, চুলকানি, এমনকি ফোস্কাও দেখা দিতে পারে। তবে এটি সংক্রামক নয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকা (Disney Rash)
এই ধরনের সমস্যা সাধারণত মধ্যবয়সী বা পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষদের মধ্যে বেশি (Disney Rash) দেখা যায়, বিশেষত যাঁরা শরীরচর্চায় অভ্যস্ত নন। বর্ষার আর্দ্র আবহাওয়া বা দীর্ঘক্ষণ মোজা পরে থাকাও এই র্যাশ হওয়ার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে সিন্থেটিক কাপড়ের পোশাক বা মোজা ব্যবহার করলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন?
- পায়ের গোড়ালি, পাতায় লাল বা বেগুনি রঙের র্যাশ বা ছোপ
- চুলকানি, জ্বালা, ব্যথা
- হালকা ফোলা ভাব
- হাঁটার সময় অস্বস্তি
আরও পড়ুন: Gar Panchkot: বর্ষার টানে গড় পঞ্চকোট পাহাড়, বন আর ইতিহাসে মোড়া এক মায়াবী ঠিকানা
কী করবেন?
- প্রথমত, তাড়াহুড়ো করে বেশি হাঁটা বা ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন। শারীরিক পরিশ্রমের পরপরই বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, একটানা হেঁটে যাওয়া বা ভারী ব্যায়াম করা শরীরে অপ্রত্যাশিত চাপ তৈরি করতে পারে, যা এই সমস্যার সূত্রপাত ঘটায়।
- পোশাকের বেছে নেওয়াও জরুরি। সুতির, ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোশাক পরুন। গরমকালে পা পুরো ঢাকা মোজা এড়িয়ে চলাই ভালো।
- পায়ের ঘাম জমে না, সেদিকে নজর দিন। প্রয়োজনে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে পা শুকনো রাখুন। পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং লবণাক্ত খাবার কম খান।
- যাঁদের ভেরিকোজ ভেন বা শিরা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিজনি র্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। সে ক্ষেত্রে পায়ের দিকে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়াই শ্রেয়।
- র্যাশ দেখা দিলেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিশ্রাম ও সাবধানতা মানলেই বেশিরভাগ সময়েই তা কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।