ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কর্নাটকে এক প্রাক্তন কেরানির বাড়িতে লোকায়ুক্ত পুলিশের তল্লাশি অভিযানে বেরিয়ে এল চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য(Disproportionate Case)। সামান্য বেতনের এক প্রাক্তন সরকারি কর্মীর ঘরে মিলল প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি। শুধু নগদ অর্থ বা গয়নাই নয়—বিলাসবহুল গাড়ি, একাধিক বাড়ি, জমি—সব মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল। এই ঘটনায় ফের একবার সরকারি দুর্নীতির জ্বলন্ত প্রমাণ সামনে এল।
আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ (Disproportionate Case)
কালকাপ্পা নিদাগুন্ডি নামের ওই প্রাক্তন কেরানি কর্নাটক রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (KRDIL)-এ কর্মরত ছিলেন। মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১৫ হাজার টাকা(Disproportionate Case)। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠছিল। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার কোপ্পালের প্রগতি নগরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কর্নাটক লোকায়ুক্ত পুলিশ (Karnataka Police)। একইসঙ্গে বেঙ্গালুরু আরবান, মাইসুরু, টুমাকুরু, কালবুর্গি এবং কোদাগুসহ রাজ্যের ৪১টি জায়গায় একযোগে অভিযান চালানো হয়।
তল্লাশিতে যা উদ্ধার হয়েছে, তা রীতিমতো বিস্ময়কর—
- কালকাপ্পার নামে ও পরিবারের নামে ২৪টি বাড়ি, যার মধ্যে একাধিক বিলাসবহুল
- প্রায় ৪০ একর কৃষিজমি এবং বাস্তু জমি
- ৯০ লক্ষ টাকার গাড়ি
- বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা এবং সোনার গয়না
কালকাপ্পাকে জেরা করা শুরু হয়েছে (Disproportionate Case)
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এসব সম্পত্তির অধিকাংশই তাঁর স্ত্রী এবং ভাইয়ের নামে রেজিস্টার করা রয়েছে(Disproportionate Case)। কালকাপ্পাকে ইতিমধ্যেই জেরা করা শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, চক্রবৃদ্ধি হারে আরও অজানা সম্পত্তির সন্ধান মিলতে পারে। আরও কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
তল্লাশি অভিযানটি গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত চলমান। শুধু কালকাপ্পা নন, এই অভিযানের আওতায় রয়েছেন আরও কয়েক জন সরকারি আধিকারিক—যাদের মধ্যে রয়েছেন আমলা, ইঞ্জিনিয়ার, রাজস্ব ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও।

সরকারি দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতি (Disproportionate Case)
এই ঘটনা কর্নাটকে সরকারি দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতির গভীরতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে(Disproportionate Case)। লোকায়ুক্ত সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Mayanmar Cricis : মায়ানমারে ভোটের ঘোষণা, উঠবে জরুরি অবস্থা! পিছু হটছে সামরিক জুন্টা?
এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনিক স্তরে আরও কঠোর নজরদারি ও সম্পত্তির যাচাই প্রক্রিয়া চালুর দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন—সরকারি চাকরি মানেই কি ‘অপ্রকাশ্য ধনসম্পদের পাহাড়’?