ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের দাবার ইতিহাসে (Divya Deshmukh) সোমবার লেখা হল এক নতুন অধ্যায়। প্রথমবার মহিলাদের দাবা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন দেশের এক প্রতিভাবান কিশোরী-১৯ বছরের দিব্যা দেশমুখ। টুর্নামেন্টের দুই ফাইনালিস্টই ভারতীয় হওয়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের একজন হবেন, তা নিশ্চিত ছিল আগেই। প্রশ্ন ছিল, কে জিতবেন? শেষপর্যন্ত টাইব্রেকারে হাম্পিকে হারিয়ে সোনার মুকুট পরলেন দিব্যা।
উভয় সম্মত ড্র (Divya Deshmukh)
প্রথমে দু’টি ক্লাসিক্যাল গেম ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় (Divya Deshmukh) টাইব্রেকারে। প্রথম র্যাপিড গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে ‘পেট্রভস ডিফেন্স’ দিয়ে শুরু করেন দিব্যা। দু’জনেই আক্রমণাত্মক খেলছিলেন, কিন্তু ম্যাচের গতিপ্রকৃতি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কেউ জয়ের পথে নেই। শেষপর্যন্ত উভয়েই সম্মত হন ড্রয়ে।
জয়ের জন্য মরিয়া (Divya Deshmukh)
এরপর দ্বিতীয় র্যাপিড গেমে সাদা ঘুঁটি পান হাম্পি (Divya Deshmukh)। শুরু করেন ‘কুইন্স গ্যাম্বিট’ দিয়ে। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই দেখা যায়, দিব্যা জয়ের জন্য মরিয়া। ঘুঁটি চালাতে সময় নিচ্ছিলেন কম, বিপরীতে হাম্পি ছিলেন ধীর গতিতে। সময় ব্যবধান ৮ মিনিটে পৌঁছে যায়। ক্রমেই চাপে পড়তে থাকেন হাম্পি। এক সময় ভুল চাল দেন, যার সুযোগ নিয়ে ৩৪তম চালেই ম্যাচ জিতে যান দিব্যা।
হাম্পির খেলা ছিল তুলনায় রক্ষণাত্মক
এই জয় শুধু একটি ম্যাচ জয়ের নয়, এটি প্রজন্মের ব্যবধান টপকে অভিজ্ঞতাকে চ্যালেঞ্জ করার সাহসের প্রতীক। দ্বিগুণ বয়সি এক কিংবদন্তিকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া শুধু কৃতিত্ব নয়, ইতিহাস। গোটা প্রতিযোগিতা জুড়েই দিব্যা ছিলেন আগ্রাসী। তাঁর খেলার ধরন ছিল ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। হাম্পির খেলা ছিল তুলনায় রক্ষণাত্মক।

সেখানেও খেলা ড্র
শনিবার এবং রবিবার হওয়া দুই ক্লাসিক্যাল গেমেও দৃশ্যপট ছিল এই রকমই। প্রথম ম্যাচে দিব্যা সাদা ঘুঁটি নিয়ে ‘কুইন্স গ্যাম্বিট’ দিয়ে শুরু করলেও খেলা ড্র হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে হাম্পি শুরু করেছিলেন ‘এ০৬ জুকারটর্ট ওপেনিং’ দিয়ে, কিন্তু সেখানেও খেলা ড্র-এ গড়ায়।
আরও পড়ুন: Coffee Culture : মেঘলা আকাশে কলকাতার পুরোনো কফি-সংস্কৃতি! বৃষ্টির ফোটা গুনে গুনে গরম কফিতে চুমুক
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিজ্ঞতার অভাব সত্ত্বেও সাহসিকতা এবং কৌশলে এগিয়ে ছিলেন দিব্যা। ম্যাচ শেষে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, কেঁদে ফেলেন জয়ী দাবাড়ু। তাঁর চোখের জল যেন ভারতের নতুন দাবা যুগের সূচনা ঘোষণা করল।