Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যত এগোচ্ছে, রাজনৈতিক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মাত্রাও তত চড়ছে (Donald Trump)। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বুধবার দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, বাইডেন প্রশাসনের ‘উন্মুক্ত সীমান্ত নীতি’ দেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ অপরাধীদের (Donald Trump)
ট্রাম্পের (Donald J. Trump) ভাষ্য, “বাইডেনের সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার নীতির ফলে হাজার হাজার অপরাধী, মাদক পাচারকারী এবং মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি বিনা বাধায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে (Donald Trump)। এরা যুক্তরাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতি এবং সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে।”তিনি আরও দাবি করেন, “এই প্রবেশ রোধ না করায় আজ আমাদের কয়েক শো বিলিয়ন ডলার খরচ করে এসব অপরাধীদের দেশে ফেরত পাঠাতে হচ্ছে। এটি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিকল্পিত। এটি দেশের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।”
ইডেনকে ‘বোধশক্তিরহিত’ বলে কটাক্ষ ট্রাম্পের (Donald Trump)
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে বাইডেনকে (Joe Biden) ‘বোধশক্তিরহিত’ বলেও কটাক্ষ করেন (Donald Trump)। তাঁর অভিযোগ, “এই সব সিদ্ধান্ত বাইডেন নিজে নেননি। বরং বাইডেনের মানসিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি তাঁকে সামনে রেখে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ দখল করেছে। তাঁরাই প্রকৃত অর্থে আমেরিকার শত্রু, দেশদ্রোহী। এদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”প্রসঙ্গত, সীমান্ত এবং অবৈধ অভিবাসন ইস্যু ট্রাম্পের নির্বাচনী রাজনীতির অন্যতম মূল ভিত্তি। ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারেও তিনি এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেছিলেন। এবারও ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে তিনি একই ইস্যুকে বড় হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরছেন।

আরও পড়ুন: Lashkar-e-Taiba : আহত কুখ্যাত জঙ্গি হামজ়া! লাহোর সামরিক হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা, কিভাবে জখম?
বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ (Donald Trump)
ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রথম প্রেসিডেন্সিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল(Donald Trump)। হোয়াইট হাউসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ৩৭,৬৬০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করেছিল। অপরদিকে, বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে মাসে গড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭,০০০ জনে। যদিও ট্রাম্প শিবিরের দাবি, এই সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ হলো বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং সীমান্তে অনুপ্রবেশের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন: Iran Israel Conflict : ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে ইজ়রায়েলি হামলার আশংকা! পেছনে হাত যুক্তরাষ্ট্রের
বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়েও তীব্র আক্রমণ ট্রাম্পের (Donald Trump)
এদিকে, বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়েও ট্রাম্প তীব্র আক্রমণ করেছেন। সম্প্রতি বাইডেনের মূত্রাশয়ে ‘আক্রমণাত্মক পর্যায়ের’ ক্যানসার ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে(Donald Trump)। যদিও চিকিৎসকদের আশ্বাস অনুযায়ী তিনি নিয়মিত চিকিৎসাধীন এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন, তবুও ট্রাম্প এই বিষয়কেও রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, “জো বাইডেন কখনওই মাদক ব্যবসায়ী বা অপরাধীদের এমনভাবে ঢুকতে দিতেন না। কিছু বিশ্বাসঘাতক ব্যক্তি তাঁর অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে দেশকে ধ্বংস করতে চাইছে।”
জনমনে অবিশ্বাস সৃষ্টি (Donald Trump)
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই কৌশল মূলত তাঁর রক্ষণশীল ভোটব্যাঙ্ককে দৃঢ় করতে এবং বাইডেন প্রশাসনের প্রতি জনমনে অবিশ্বাস সৃষ্টি করতেই (Donald Trump)। অভিবাসন, নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রনায়কদের শারীরিক সক্ষমতা—এই তিনটি বিষয়ই আগামী নির্বাচনের আগে মার্কিন রাজনীতিতে কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।জনগণের দৃষ্টিতে কার নীতি বেশি কার্যকর, তা নির্ধারণ করবে আসন্ন নির্বাচন। তবে ট্রাম্পের এই আক্রমণাত্মক অবস্থান যে প্রচারের উত্তাপ আরও বাড়াবে, তা বলাই যায়।