ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে ফের কটাক্ষ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) । সোমবার স্কটল্যান্ডে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের উপস্থিতিতেই সাদিককে ‘অভদ্র লোক’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। ট্রাম্পের মন্তব্যে দৃশ্যত বিব্রত হয়ে পড়েন স্টারমার এবং সাদিককে নিজের “খুব ভাল বন্ধু” বলে ব্যাখ্যা দিয়ে ট্রাম্পকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি।
পুরনো দ্বন্দ্ব আবার সামনে (Donald Trump)
ট্রাম্প ও সাদিকের সংঘাত নতুন নয়। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই দ্বন্দ্ব শুরু (Donald Trump)। বিশেষত ট্রাম্প যখন নির্দিষ্ট কিছু মুসলিম দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, তখন সাদিক সরব হয়ে এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন। সেই সময় থেকেই সাদিককে একাধিকবার ‘লুজার’ বা হেরে যাওয়া ব্যক্তি বলে কটাক্ষ করেছিলেন ট্রাম্প। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও সাদিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
২০২3 সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একটি পডকাস্টে সাদিক বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁর ধর্ম ও বর্ণের কারণে তাঁকে নিশানা করেন। সাদিকের দাবি, “আমার মুসলিম পরিচয়ের জন্যই তিনি (ট্রাম্প) আমাকে টার্গেট করেন।”
স্টারমারের সামনেই কটাক্ষ (Donald Trump)
চার দিনের সফরে বর্তমানে স্কটল্যান্ডে রয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। সোমবার স্কটল্যান্ডে নিজের বিলাসবহুল গলফ রিসর্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে লন্ডন সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “আমি আপনাদের মেয়রের ভক্ত নই। আমার মতে তিনি খুব খারাপ কাজ করেছেন। লন্ডনের মেয়র একজন অভদ্র মানুষ।”
এই মন্তব্যের মাঝেই ট্রাম্পকে থামানোর চেষ্টা করেন স্টারমার। তিনি বলেন, “আসলে তিনি (সাদিক) আমার খুব ভাল বন্ধু।”
কিন্তু ট্রাম্প তাতেও থামেননি। বরং সাদিকের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি তিনি খুব খারাপ কাজ করেছেন। তবে আমি নিশ্চয়ই লন্ডনে যাব।”

সাদিকের পাল্টা বার্তা (Donald Trump)
ট্রাম্পের (Donald J. Trump) কটাক্ষে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লন্ডনের মেয়রের দফতর(Donald Trump)। সাদিকের মুখপাত্র বলেন, “ট্রাম্প বিশ্বের সেরা শহরে আসতে চেয়েছেন, তাতে সাদিক আপ্লুত। লন্ডনে এলে তিনি বুঝবেন, বৈচিত্র আমাদের দুর্বল নয়, বরং আমাদের শক্তি ও সম্পদ বাড়ায়। হয়তো সেই কারণেই তাঁর আমলে সবচেয়ে বেশি আমেরিকান নাগরিক ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন।”