ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রুশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার পরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে উত্তেজনার পারদ চড়ছে (Donald Trump)। এমন পরিস্থিতিতেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের দুই সুপার পাওয়ার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে আলোচনায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার পাশাপাশি উঠে এসেছে ইরান-মার্কিন পরমাণু চুক্তি নিয়েও।
ট্রাম্প কী লিখেছেন? (Donald Trump)
ট্রাম্প নিজেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এই ফোনালাপের কথা জানিয়ে লিখেছেন, “আমাদের মধ্যে খুব ভাল আলোচনা হয়েছে (Donald Trump)। পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ড্রোন হামলার উপযুক্ত জবাব দেবেন তিনি।” আরও চাঞ্চল্য ছড়ায় ট্রাম্পের এই দাবিতে যে, ইরান এখনও পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারেনি—এই বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে তিনি একমত হয়েছেন।
ইউক্রেন সেনার ড্রোন হামলা (Donald Trump)
এই ফোনালাপে রাশিয়ার বেলায়া, ওলেনিয়া, ইভানোভো এবং দিয়াগিলোভো-সহ পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন সেনার পরিচালিত ড্রোন হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে (Donald Trump)। যে ড্রোন হামলার পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’। কিছু বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রায় দেড় বছর ধরে পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেন দাবি করেছিল, ১১টি রুশ বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে তাঁরা। যদিও রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, বিমানগুলি ধ্বংস হয়নি, কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তা দ্রুত মেরামত করা হবে।
রাশিয়ার কী অভিযোগ? (Donald Trump)
রাশিয়ার অভিযোগ, এই হামলার পরিকল্পনা ইউক্রেন দীর্ঘ দিন ধরেই করছিল এবং সম্ভবত আমেরিকা থেকেও ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল মিনস’ -এর মতো নজরদারি পদ্ধতির মাধ্যমে কিছু তথ্য পেয়েছে (Donald Trump)। যদিও ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করে পুতিনকে আশ্বস্ত করেছেন যে,আমেরিকা ইউক্রেনের পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত ছিল না। এই উত্তেজনার আবহে ফের সামনে এসেছে ২০১০ সালের মার্কিন-রুশ ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল,রুশ পরমাণু অস্ত্রবাহী বোমারু বিমানগুলিকে এমন ঘাঁটিতে রাখা হবে যাতে সেগুলি সামনে থাকে।

আরও পড়ুন: Fitna al Khawarij : নতুন আতঙ্ক পাকিস্তানে, উত্তর ওয়াজ়িরিস্তানে তীব্র সেনা অভিযান!
হামলা নিয়ে নতুন বিতর্ক (Donald Trump)
ইউক্রেনের এই নিশানা বেছে হামলা করার যুক্তি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে, তাহলে কি ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’ কাল হল রাশিয়ার? দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে ইরানের পরমাণু চুক্তির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে (Donald Trump)। এরই মধ্যে ইরান জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে অনুমতি না দিলে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব নয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েসকিয়ানের সরকারের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এবং দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইও এই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

পঞ্চম দফার আলোচনা (Donald Trump)
ওমানের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম দফার আলোচনায় মার্কিন প্রশাসন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ রাখার শর্ত দেয়, যা ইরানের তরফে প্রত্যাখ্যান করা হয়। বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার আবহে দুই সুপার পাওয়ার দেশের রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে ফোন আলাপের মাধ্যমে কি শান্তির কোনো পথ বের হতে পারে? খুলতে পারে ইরানের পরমাণু চুক্তির দীর্ঘ দিনের জট? নাকি ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পর রুশ মার্কিন পারস্পরিক বিশ্বাস টিকিয়ে রাখতেই পুতিনকে কোনো বার্তা দিতে চাইলেন ট্রাম্প, তা স্পট হবে অদূর ভবিষ্যতে।