ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষ পঞ্চম দিনে পড়তেই নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে (Donald Trump)। যুদ্ধের উত্তাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জি৭ সম্মেলনের সফরসূচি কাটছাঁট করে আগেভাগেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald J. Trump)। হোয়াইট হাউস স্পষ্ট জানিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জেরেই এই সিদ্ধান্ত।
জরুরি ভিত্তিতে আমেরিকায় ফিরছেন ট্রাম্প (Donald Trump)
জি৭ সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে নৈশভোজ সেরে ফেরার কথা ট্রাম্পের (Donald Trump)। প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতি ঘিরে অত্যন্ত চিন্তিত। ফলে জরুরি ভিত্তিতে আমেরিকায় ফিরে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।ট্রাম্প নিজেও নিজের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি বার্তা দিয়েছেন। তেহরান ছেড়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সবার প্রতি, যদিও সেই আহ্বানের কারণ স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি তাঁর পুরনো অবস্থানেই অনড়— “ইরান পরমাণু অস্ত্র রাখতে পারে না।” তাঁর বক্তব্য, “আমি আগেই বলেছিলাম— ইরান যদি প্রস্তাবিত চুক্তিতে সই করত, তাহলে এই রক্তপাত, এই জীবনহানি এড়ানো যেত (Donald Trump)।”
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি (Donald Trump)
প্রেসিডেন্টের এই বার্তাই জল্পনা বাড়িয়েছে। কারণ, মঙ্গলবার সকালেও ইজরায়েলের বিভিন্ন অংশে ফের সাইরেন বেজে ওঠে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি হয়(Donald Trump)। তেহরান ও জেরুজালেম— দুই পক্ষই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ব্যস্ত। যুদ্ধবিরতির কোনও ইঙ্গিত এখনও নেই। সংঘর্ষে একাধিক প্রাণহানি ও পরিকাঠামো ধ্বংসের খবর মিলেছে।সূত্রের দাবি, সংঘর্ষের সূত্রপাত গত শুক্রবার, যখন ইজ়রায়েল ইরানের একটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায়। অভিযোগ, ইরান আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি জোরকদমে চালাচ্ছে। সেই আশঙ্কা থেকেই ইজরায়েল আক্রমণে যায়। তবে ইরানের দাবি, তাদের পরমাণু কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য।

আরও পড়ুন: Calcutta High Court : অনিকেতদের বদলি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার বার্তা (Donald Trump)
এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন— পরিস্থিতি আর কতটা খারাপ হতে পারে? ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক চাপ কি যুদ্ধ রুখতে পারবে? জি৭ সম্মেলনের মঞ্চে কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ থাকলেও, বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, দু’পক্ষ আপাতত রণকৌশলেই বিশ্বাসী(Donald Trump)।তবে আশার আলো একটিই— ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে দ্রুত ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সিএনএন জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব কূটনৈতিক আলোচনার টেবিল তৈরি করতে। অর্থাৎ, সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি এই মুহূর্তে আলোচনার মাধ্যমে একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি করানো না যায়, তবে পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতেও ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।