ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর প্রশাসনের রূপরেখা কেমন হতে চলেছে, সেই আভাস ইতিমধ্যে দিয়েছেন হবু প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার আগে নিজের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা যাচ্ছে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশব্যাপী অভিবাসন আইন প্রয়োগ জোরদার করার পরিকল্পনা করছে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ভিন্ দেশ থেকে অপরাধচক্র আমেরিকায়? (Donald Trump)
আমেরিকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে সে দেশের রাজনীতিতে। গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময়ে এই প্রসঙ্গ বার বার উঠে এসেছে। শপথ নেওয়ার আগে ট্রাম্প(Donald Trump) জানান, অবৈধ ভাবে যাঁরা আমেরিকায় প্রবেশ করেছেন, তাঁদের সকলকে ফেরত পাঠাবেন তিনি। একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও বিদেশি অপরাধচক্রকে আমেরিকায় বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর দাবি, ভিন্ দেশ থেকে কিছু অপরাধচক্র আমেরিকায় এসেছে। সেগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন তিনি।
১০০ দিনে কী পদক্ষেপ ট্রাম্পের? (Donald Trump)
প্রথম ১০০ দিনে কী কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন, তারও আভাস দিয়ে রাখলেন ট্রাম্প(Donald Trump)। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনেই আমেরিকায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ন্ত্রণ জারি করতে চলেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ট্রাম্প কড়া অভিবাসন নীতি চালু করার পক্ষে জোর দিয়ে এসেছেন। হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব পেলে অবৈধ অভিবাসীদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাবেন বলেও দাবি করেছিলেন। ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার আগে অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করলেন তিনি(Donald Trump)।
আরও পড়ুন:Tiktok Ban in America: ট্রাম্পের শপথগ্রহণের আগেই ধাক্কা চিনা সংস্থার! আমেরিকায় বন্ধ হলো টিকটক
আইসিই অবৈধ অভিবাসী-বিরোধী অভিযান
তার অভিষেকের পর ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট আইসিই অবৈধ অভিবাসী-বিরোধী অভিযান শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। শুরুতেই অভিবাসীদের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত দেশটির বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। শিকাগোর পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটি এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো অন্যান্য কিছু শহরে অভিবাসীদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। অভিযান পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের অভিবাসন-বিরোধী অভিযানের প্রথম দিকের নিশানা হতে চলেছে নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, ডেনভার এবং মিয়ামিও।
কী বলছে সংবাদ সংস্থা?
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, দায়িত্ব গ্রহণের পরই আমেরিকার সীমান্তে নিরাপত্তার উপর জোর দিতে চলেছেন তিনি। মাদক পাচার চক্রগুলিকে ‘বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠী’ হিসাবে ঘোষণা করা হতে পারে। এ ছাড়া আমেরিকা এবং মেক্সিকোর সীমান্তে জরুরি পরিস্থিতিও ঘোষণা করা হতে পারে। দেশটির দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘‘বর্ডার জার’’ টম হোম্যানের হুমকির মুখে মঙ্গলবারের প্রথম প্রহরেই শিকাগোতে অবৈধ অভিবাসী-বিরোধী অভিযান শুরু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরে বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর বসবাস রয়েছে।
আরও পড়ুন:Donald Trump Inauguration: ক্যাপিটালের উদ্দ্যানে নয়, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ ইনডোরে
ওয়াশিংটনে বিজয় সভায় বক্তৃতা ট্রাম্পের
ওয়াশিংটনে এক বিজয় সভায় বলেন, “আগামিকাল সূর্যাস্তের আগেই আমাদের দেশে বাইরে থেকে ‘আক্রমণ’ বন্ধ হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাইডেন জমানার ‘প্রতিটি কট্টরপন্থী এবং বোকা বোকা সরকারি নির্দেশ’ প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানান তিনি। ওয়াশিংটনের ওই বিজয় ভাষণে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং পশ্চিম এশিয়ার অস্থিরতা নিয়েও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ রুখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি ইউক্রেনের যুদ্ধ থামিয়ে দেব। পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিরতা বন্ধ করব এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়া আটকাব। আপনাদের কোনও ধারনা নেই, আমরা কতটা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি।”