ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্ব বাণিজ্যে উত্তেজনা চরমে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ব্রিক্স’-জোটকে শুল্ক হুমকি দেওয়ার পর পাল্টা মুখ খুলল চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা(Donald Trump vs BRICS)। চিনের কড়া মন্তব্য: “শুল্কের মাধ্যমে অন্যের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য”। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আমেরিকাবিরোধী নয়।
ট্রাম্পের হুমকি শুল্কের ছায়া (Donald Trump vs BRICS)
সোমবার সকালে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্টে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, “ব্রিক্স-এর আমেরিকাবিরোধী নীতিতে যে দেশ যুক্ত থাকবে, তার উপর অতিরিক্ত ১০% কর চাপানো হবে(Donald Trump vs BRICS)। ব্যতিক্রম হবে না।” এও জানান, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিভিন্ন দেশকে শুল্ক সংক্রান্ত চিঠি বা বাণিজ্যচুক্তির কাগজ পাঠানো হবে।
এই ঘোষণার ঠিক আগের দিনই ব্রাজ়িলের রিও ডি জেনেইরোতে চলা ‘ব্রিক্স’ সম্মেলনে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ১০-দেশের জোট। সেখানে নাম না করে বলা হয়, “নির্বিচারে শুল্ক বৃদ্ধি বা বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ বিশ্ববাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করে।”
চিনের পাল্টা “লাভ হবে না কারও” (Donald Trump vs BRICS)
ট্রাম্পের পোস্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় চিন(Donald Trump vs BRICS)। বেজিঙের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “শুল্ক ব্যবস্থাকে অন্যের উপর চাপ তৈরির হাতিয়ার বানালে তা মেনে নেওয়া যায় না। এতে শেষ পর্যন্ত কারও কোনও লাভ হবে না।” চিনের মতে, এই ধরনের হুমকি মূলত বিশ্ববাণিজ্যের স্থিতাবস্থাকে নষ্ট করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান “আমরা আমেরিকাবিরোধী নই” (Donald Trump vs BRICS)
‘ব্রিক্স’-এর আরও এক সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকাও সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রাম্পের হুমকির পরে। ওই দেশের বাণিজ্য দফতরের মুখপাত্র জানান, “আমরা আমেরিকাবিরোধী নই। বরং বাণিজ্যচুক্তির আলোচনায় এখনও আগ্রহী।” তাদের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক বহুস্তরীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্কই অগ্রাধিকার।
ভারত কোন পথে? (Donald Trump vs BRICS)
এই বিতর্কের মাঝেই রয়েছে ভারত(Donald Trump vs BRICS)। ব্রিক্স-এর অন্যতম মুখ্য সদস্য এবং পাশাপাশি আমেরিকার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দেশও। সম্প্রতি ব্রাজিলে মোদী তাঁর বক্তৃতায় সন্ত্রাসবাদ ও বিশ্ববাণিজ্যে দ্বিচারিতার বিরোধিতা করেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প-প্রশাসনের সঙ্গে দিল্লির আলোচনা এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছোয়নি। ভারতের উপর বর্তমানে আমেরিকার আরোপিত শুল্ক ২৬ শতাংশ। যদিও গত ৯০ দিনের জন্য তা ট্রাম্প স্থগিত রেখেছেন, কিন্তু এই স্থগিতাদেশ ৯ জুলাই শেষ হচ্ছে। এই সময়সীমার মধ্যেই ট্রাম্প (Donald J. Trump) বিভিন্ন দেশকে চুক্তিপত্র পাঠানোর ঘোষণা করলেন।

বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ছে (Donald Trump vs BRICS)
ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে ব্রিক্স ও আমেরিকার মধ্যে চাপানউতোর বিশ্ববাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করছে(Donald Trump vs BRICS)। চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্পের একতরফা হুমকি সহজে মেনে নেওয়ার মনোভাব নেই জোটের মধ্যে। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে দোলাচল আরও বড় চ্যালেঞ্জ। একদিকে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করার সময়সীমা এগিয়ে আসছে, অন্যদিকে ব্রিক্স জোটের অবস্থানের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। আগামী কয়েক দিনেই হয়তো বোঝা যাবে, দিল্লি কোন কৌশল বেছে নেয়।