ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফুটবল (Durand Cup 2025)। ইস্টবেঙ্গল হোক বা মোহনবাগান, খেলার মাঠ থেকে আড্ডার ঠেক, চর্চা তর্ক চলতে থাকে খেলাকে ঘিরে।
খেলার আপডেট (Durand Cup 2025)
হামিদের গোলে নামধারী জয় ইস্টবেঙ্গলের। গ্রুপ A-তে শীর্ষে যেতে গেলে ও ডুরান্ড কাপের নকআউট নিশ্চিত করতে ইস্টবেঙ্গলকে জিততেই হতো নামধারীর বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গল সেটা সফল ভাবে করে (Durand Cup 2025)।
তবে এই জয় মোটেও সমান ছিল না ইস্টবেঙ্গলের কাছে। অনুশীলনেই অস্কার ব্রুজ়ো জানিয়েছিলেন নামধারী আইলিগ দল হলেও তারা মাঠে নেমে সমান সমান হয়ে যাবে সেটাই হলো। ইস্টবেঙ্গল পুরো ম্যাচে চাপ বজায় রাখলেও গোল করেছে একটা। তার কারণ নামধারীর ডিফেন্স।

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল একে অপরকে কড়া টক্কর দিতে শুরু করে। নামধারী প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে খেলতে নেমেছিল তাই শুরুতে ইস্টবেঙ্গল আগে কিছুটা বুঝে নিয়েই আক্রমণ শুরু করে। খেলা শুরুর ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় আক্রমণ শুরু করে।
ইস্টবেঙ্গলের থেকে নামধারী ধারে ও ভারে অনেকটাই পিছিয়ে। ফলে ম্যাচের ফল যে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে হবে সেটা অনুমান করেছিলেন সর্থকরা। কিন্তু নামধারীর গোলকিপার নীরজ কুমার যে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবেন সেটা অনেকেই কল্পনা করতে পারেননি। তিঁনি বহু শট আটকে দেন। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল যতগুলো আক্রমণ তৈরি করতে পেরেছিল তার ৫০ শতাংশ গোলে পরিণত হলে প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও পাঁচ গোলে জিততে পারত (Durand Cup 2025)।
প্রথম থেকেই গোলের জন্য মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধেও দেখা যায় একই ছবি। লাল হলুদ গোলের জন্য যতটা মরিয়া ছিল, তার থেকেও বেশি গোল রুখতে মরিয়া ছিল নামধারী এফসি। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ সামলাতে গিয়ে নামধারী আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। এই থেকেই আসে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোল। ৬৮ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করেন হামিদ (Durand Cup 2025)।
গোল করার পর হামিদ একাধিক বল গোলে বাড়ান কিন্তু গোলে রূপান্তরিত হয়নি তা। গোটা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ১৮টা শট নেয় বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু বিপক্ষের রক্ষণের কাছে বারবার প্রতিহত হতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে (Durand Cup 2025)।