Last Updated on [modified_date_only] by Sabyasachi Bhattacharya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : চারদিনের মাথায় জোরালো ভূমিকম্প আফগানিস্তানে। সংকটের মুখে দেশের জনজীবন (Earthquake)।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake)
সপ্তাহের শুরুতেই জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একবার কেঁপে উঠলো দেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.২। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর অনুযায়ী ভূমিকম্পের কেন্দ্র ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানই (Earthquake)।
আফগানিস্তান সরকারের বিবৃতি অনুসারে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল নাঙ্গারহার এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ১৬০ কিলোমিটার গভীরে। সিসমোলজি সেন্টারগুলির থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ীভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল হল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলের ১১১ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১:৫৬ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। যার স্থানাঙ্ক ছিল ৩৫.১২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭০.৭১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।

এই সপ্তাহের শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় আফগানিস্তানে, সেই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ২২০০ মানুষ। আহতের সংখ্যা প্রায় ৩৬৪০। প্রানহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। একাধিক বার আফটার শক এফেক্ট অনুভূত হয় আফগানিস্তানে। সূত্রের থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী পেশোয়ার, মানসেহরা, হাঙ্গু, অ্যাবোটাবাদ, সোয়াত, অ্যাটক এবং মালাকান্দেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Share Market: শুক্রবারের ট্রেডিং কি পজিটিভ ফল দেবে? কী বলছে দালাল স্ট্রিট?
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির থেকে প্রাপ্ত খবর অনুসারে গতকাল সকালেও আফগানিস্তানে ৪.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই বিবৃতি অনুসারে, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্টের ১৩৫ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে (Earthquake)।
যত দিন যাচ্ছে মানবিক সংকটও বাড়ছে। এই ভূমিকম্পের ফলে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। তাছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। রোজকার দিন চলার মতো সম্পদও শেষ হয়ে আসছে বলেই জানা যাচ্ছে। জাতিসংঘ এবং আরও কিছু সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে তাদের সাহায্যের কতটা প্রয়োজন। খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সবকিছুই সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। বিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে আবারও এই ভূমিকম্প মানুষের দুর্দশা যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে (Earthquake)।