ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক: সারাদিন কাজের চাপ, ক্লান্তি আর মানসিক উদ্বেগের পরে নিজেকে কিছুটা আরাম দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়—নিজের শোয়ার ঘর(Bedroom)। তাই এই ঘরটি শুধু ঘুমানোর জায়গা নয়, বরং একান্ত নিজের মতো করে সাজানো মানসিক প্রশান্তির ঠিকানা। ছোট হোক বা বড়, শোয়ার ঘর যেন হয়ে ওঠে আপন আঙ্গিনার মতো সাজানো-গোছানো ও রুচিসম্মত।
কী ভাবে সাজাবেন শোয়ার ঘর?(Bedroom)
অন্দরসাজ মানেই যে কেবল নিজের রুচি ও সৃজনশীলতার পরিচয় দেওয়া, তা নয়, বরং নিজেকে ভাল রাখাটাও জরুরি। এখনকার ব্যস্ত সময়ে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা খাঁড়া ঝুলিয়েই রেখেছে। নিত্যদিনের উৎকণ্ঠা থেকে সাময়িক আরাম আমরা সকলেই চাই। সেই আরাম দিতে পারে আমাদের শোয়ার ঘর। দিনের শেষের ক্লান্তি কমানোর জন্য গা এলানো হোক বা প্রিয় মানুষের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা, শোয়ার ঘর(Bedroom) বাড়ির মধ্যে হয়ে ওঠে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই ঘরখানি সাজাবেন কী ভাবে?

দেওয়ালের রঙে শুরু হোক ঘর সাজানো(Bedroom)
শোয়ার ঘর(Bedroom) সাজানোর শুরুতেই নজর দিন দেওয়ালের দিকে। হালকা রঙ যেমন অফ হোয়াইট, প্যাস্টেল নীল বা গোলাপি ঘরকে করে তোলে উজ্জ্বল ও প্রশান্তিকর। খাটের পিছনের দেওয়ালে ওয়ালপেপার, কাঠ বা কাচের তাক দিয়ে শো-পিস বা ফটো ফ্রেমে আনুন নিজস্বতার ছাপ।

মেঝে ও আলোয় আসুক আভিজাত্য(Bedroom)
মোজাইক বা মার্বেলের বাইরে এখন জনপ্রিয় কাঠের মেঝে বা ‘ল্যামিনেটেড ফ্লোরিং’। তবে নতুন মেঝে না করালেও শৌখিন কার্পেট দিয়ে ঘরে আনা যায় উষ্ণতা ও আভিজাত্য। আলোতেও আনুন বৈচিত্র্য—টিউবলাইটের সঙ্গে ডিম লাইট, ল্যাম্পশেড বা পিন লাইটে তৈরি হোক ঘুমপাড়ানি পরিবেশ।
আরও পড়ুন: Lucky Zodiacs: চার রাশির জন্য আসছে সুবর্ণ সুযোগ, সোমবারেই খুলবে ভাগ্য!
বিছানা ও আসবাব হোক পরিকল্পিত
খাট রাখার সময় ঘরের আয়তন মাথায় রেখে একদিকে ঠেস দিয়ে রাখাই ভালো। বক্স খাট ব্যবহার করলে স্টোরেজ সুবিধাও বাড়ে। বাথরুম ঘেঁষে চলাচলের পথ ফাঁকা রাখুন। যদি জায়গা থাকে, একটি ছোট আরামকেদারা ও কফি টেবিল রাখলে ব্যক্তিগত কোণ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: Monsoon Vegetables: বর্ষায় খান এসব সবজি, পেট থাকবে ভালো…
পর্দা, কুশন, চাদরে ফুটে উঠুক রুচি
শোয়ার ঘরের জানালায় নেটের পর্দার সঙ্গে লম্বা পর্দা ব্যবহার করুন। হালকা রঙের সুতির চাদর ও কিছু কুশন দিয়ে সাজান বিছানা। ঘুম থেকে উঠে বিছানা গুছিয়ে রাখুন বক্সে। এতে ঘর থাকবে গোছানো ও পরিপাটি।