ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চোখে চালশে পড়তে আজকাল আর চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। তার আগেই একটা করে চশমা! অনেকে আবার কম বয়সের চার চোখের উপর ভরসা করে দিন কাটান। সারা দিন ব্যস্ত জীবনে অর্ধেক সময় তো আবার ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে কাজ করতে করতেই কেটে যায়। এসবের মাঝে আবার সমাজমাধ্যমে চোখ বুলিয়ে নেওয়া। আর বিনোদন বলতে বাড়ি ফিরে স্মার্ট টেলিভিশন কিংবা মুঠোফোনে সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখা। রোজের এই রুটিনেই অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্ম।
ফলে চোখ থেকে সমানে জল পড়া, মাথা ধরা কিংবা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, তা আর অস্বাভাবিক কী? তাই আপনি যদি চোখের স্বাস্থ্যের(Eye Health)দিকে একটু খেয়াল রাখেন তাহলেই চোখ ভাল থাকবে । এর জন্য খাওয়াদাওয়াসহ জীবনযাপনের বিভিন্ন দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। খাবারের মধ্যে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা চোখের জন্য উপকারী। চোখ ভাল রাখতে হলে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। এই উপাদানগুলি চোখের রেটিনা ভাল রাখে। পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তিও ধারালো রাখে বহুদিন।
কাঠবাদাম (Eye Health)
বয়স বা চোখের স্নায়ুজনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে কাঠবাদাম। এই বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। যা চোখের স্বাস্থ্যের(Eye Health) জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যে কোনও ধরনের বাদামেই ভিটামিন ই রয়েছে। তবে, কাঠবাদামে এই ভিটামিনের পরিমাণ বেশি।

আখরোট(Eye Health)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ আখরোট প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে। অতিরিক্ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে চোখের কোষের মেমব্রেন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত আখরোট খেলে সেই আশঙ্কাও কমে। সেক্ষেত্রে চোখের স্বাস্থ্য(Eye Health)সহজেই ভালো রাখা যায় ।

আরও পড়ুন: Drinking Water Tips: ঘুম থেকে উঠেই জল খান? উপকার জানলে রোজ খাবেন
পেস্তাবাদাম
মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের পর্দা থেকে বিচ্ছুরিত ‘ব্লু লাইট’ থেকে চোখের ক্ষতি রুখে দিতে পারে পেস্তাবাদাম। ‘লুটেইন’ এবং ‘জ়িজ়্যানথিন’ নামক বিশেষ দু’টি উপাদান রয়েছে পেস্তাবাদামে। যা চোখের বয়সজনিত রোগ ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

কাজুবাদাম
দৃষ্টিশক্তি জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল জিঙ্ক। রেটিনা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি কমে আসার মতো সমস্যা আগে থেকে রোধ করা যায় নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে।

আরও পড়ুন: Health Benefits of Fish : রোজই পাতে থাকে মাছ? জানুন কোন মাছে কী উপকার?
কিশমিশ
কিশমিশে রয়েছে পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। যা দু’টি চোখের উপর ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব পড়তে দেয় না। ‘ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন’ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কিশমিশ।
