ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কমিশনের নির্দেশিকাকে ঘিরে রাজ্য-কমিশনের টানাপোড়েন শুরু। নবান্নের পাঠানো ৩ আধিকারিকের নামের প্যানেল খারিজ করল কমিশন (EC Rejects Panel)। চাওয়া হল নতুন প্যানেল। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ- অ্যাডিশনাল সিইও, ডেপুটি সিইও এবং জয়েন্ট সিইও-র জন্য যে প্যানেল পাঠানো হয়েছে, সেখানে প্রস্তাবিত আধিকারিকদের কারোরই নির্বাচন পরিচালনার বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। তাই সেই প্যানেল গ্রহণযোগ্য নয়।
কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে নতুন করে নামের তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তা দ্রুত পাঠাতে হবে। সূত্রের খবর, কমিশনের এই সিদ্ধান্তে (EC Rejects Panel) অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসন।
বিশেষত যেহেতু ২০২৬-এর ভোটের জন্য প্রস্তুতির প্রক্রিয়া এখনই শুরু করার কথা ভাবছে কমিশন, সেক্ষেত্রে এই তিনটি শীর্ষ প্রশাসনিক পদে নিয়োগ অবিলম্বে জরুরি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরকে নতুন করে প্যানেল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কমিশনের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর (EC Rejects Panel)
ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন সরকারি আধিকারিককে সাসপেনশনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দুই WBCS অফিসারও। তবে বুধবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ‘কাউকে সাসপেন্ড করা হবে না’। কমিশনের নির্দেশিকার নামে ‘চোখরাঙানি’ মানবেন না। কমিশনকে নিশানা করে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চারজন অফিসারকে সাসপেন্ড করার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। আমার প্রশ্ন, ভোট কি ঘোষণা হয়েছে? কোন আইনে নোটিস পাঠিয়ে দিয়ে এফআইআর করতে বলছে। হবে না, আমি কাউকে শাস্তি দেব না। অফিসারদের বলব আপনাদের ভয় দেখাচ্ছে, পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছে, কিন্তু কেউ ভয় পাবেন না। আমি আছি।” স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্য নিজের আধিকারিকদের রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee: বিজেপির বিরুদ্ধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই হাতিয়ার, বৈঠকে আর কী বার্তা দিলেন অভিষেক?
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিকাঠামো। রাজ্যে এখনও এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ শুরু হয়নি। তার আগেই একের পর এক ঘটনায় রাজ্য-নির্বাচন কমিশন সংঘাত (EC Rejects Panel) স্পষ্ট হচ্ছে।