ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হিমাচল প্রদেশের এক সরকারি আধিকারিকের বাড়ি থেকে রাশি রাশি মদের বোতল, বিপুল নগদ টাকা, এবং একাধিক আশ্চর্যজনক নথিপত্র উদ্ধার(ED Raid In Himachal) করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অভিযুক্ত ওই আধিকারিক হলেন নিশান্ত সারীন, যিনি বর্তমানে ধর্মশালায় সহকারী ড্রাগ কন্ট্রোলার (ADC) পদে নিযুক্ত।
একাধিক রাজ্যে তল্লাশি অভিযান (ED Raid In Himachal)
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ ও ২৩ জুন হিমাচল, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার সাতটি জায়গায় একযোগে অভিযান চালানো হয়(ED Raid In Himachal) । নিশান্তের সরকারি দফতর এবং বাসভবন ছাড়াও তাঁর আত্মীয় ও সহযোগীদের বাড়িতেও চলে তল্লাশি।
এ পর্যন্ত যা যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, ৬০টির বেশি বিদেশি ও প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের মদের বোতল
- বিপুল নগদ অর্থ
- একাধিক ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ ও মোবাইল ফোন
- ওষুধ লাইসেন্স সংক্রান্ত গোপন নথি ও শোকজ় নোটিস
- ৪০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য
- ৩২ লক্ষ টাকার বিলাসবহুল গাড়ি ও স্থায়ী আমানতের হিসাব
অভিযুক্ত কে? (ED Raid In Himachal)
নিশান্ত সারীন দীর্ঘদিন ধরেই ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে চর্চায় ছিলেন(ED Raid In Himachal) । এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে হিমাচল পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা এফআইআর দায়ের করেছিল। এমনকি তিনি এবং তাঁর সহযোগী কোমল খন্নাকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ।
জামিনে মুক্তি, ফের দুর্নীতির ছক? (ED Raid In Himachal)
জানা গিয়েছে, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে ধর্মশালায় স্থানান্তরিত করা হয়(ED Raid In Himachal) । তবে সেখানে গিয়েও দুর্নীতির ধারায় পরিবর্তন হয়নি বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। নিশান্তের নিউ চণ্ডীগড়ের অভিজাত আবাসন ‘ওম্যাক্স ক্যাসিয়া’ থেকে প্রচুর মদের বোতল এবং বিপুল সম্পত্তির হদিস মেলায় প্রশ্ন উঠছে— সরকারি পদে বসে এমন বিলাসবহুল জীবনযাপন কী ভাবে সম্ভব?

আরও পড়ুন: CJI BR Gavai : সবার ঊর্ধ্বে সংবিধান! মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে গিয়ে ফের মনে করালেন প্রধান বিচারপতি গবই
নতুন করে তদন্তের মুখে (ED Raid In Himachal)
ইডি ইতিমধ্যে নিশান্তের ব্যাঙ্ক লেনদেন, লাইসেন্স অনুমোদন প্রক্রিয়া ও ঘুষ লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ শুরু করেছে। একাধিক সম্পত্তি ও অর্থলগ্নির উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রবীণ এক ইডি অফিসারের কথায়, “এটি কেবল পৃষ্ঠচিহ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, এর গভীরে আরও বড় একটি দুর্নীতির জাল রয়েছে।”

প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য (ED Raid In Himachal)
সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এমন প্রকাশ্য দুর্নীতির প্রমাণ মেলায় প্রশাসনিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে(ED Raid In Himachal) । প্রশ্ন উঠছে, কোনও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক নিজেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হলে, সেখানে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা কোথায়? হিমাচল প্রদেশ সরকার এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না দিলেও সূত্রের খবর, নিশান্তের সাসপেনশন ও বিভাগীয় তদন্ত শীঘ্রই শুরু হতে পারে।
এই ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তির নয়— বরং গোটা প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন। কী ভাবে বছরের পর বছর ধরে একজন আধিকারিক এত সম্পদ ও প্রভাব অর্জন করলেন, তা নিয়েই এখন জোরালো তদন্ত চলছে। এখন দেখার, এই তদন্ত আরও কতজন ‘নিশান্ত’-এর মুখোশ খুলে দিতে পারে!