ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কিছুদিন আগে দুই বন্ধু যখন মিড–ডে মিলের (Mid Day Meal Investigation) খাবার এক সঙ্গে খাচ্ছিল তখন তার ভিডিয়ো করা হয়। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে ওই ভিডিও। যে দুই বন্ধু একসঙ্গে এক থালায় মিড–ডে মিলের খাবার খাচ্ছিল তাদের মধ্যে একজন হিন্দু এবং একজন মুসলমান। এবার এই এক থালায় দুই বালক-বন্ধুর মিড ডে মিল খাওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর।
সম্প্রীতির বার্তা দিতেই ভিডিও (Mid Day Meal Investigation)
স্কুল সূত্রে খবর, আট মাস আটেক আগে এই দুই বন্ধু যখন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত তখন স্কুলে মিড–ডে মিল খাওয়ার ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম। সম্প্রতি মোথাবাড়ি এবং মুর্শিদাবাদে অশান্তির আবহে সেই একই ভিডিয়ো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন তিনি বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে রবিউল ইসলাম (Mid Day Meal Investigation) বলেন, ‘সম্প্রীতির বার্তা দিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো পোস্ট করি। অন্য কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না।’
পাশাপাশি বসে খাওয়ার মধ্যেই সম্প্রীতি (Mid Day Meal Investigation)
হঠাৎ শিক্ষা দফতরের এই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। দফতরের এক কর্তার দাবি, মিড ডে মিলের জন্য স্কুলে বাচ্চাদের আলাদা থালা-বাটি থাকে। কোনও কারণে তা কম থাকলে, বাচ্চাদের বাড়ি থেকে সে সব আনতে বলা হয়। তাই একসঙ্গে একই থালায় খাওয়ার প্রশ্ন নেই (Mid Day Meal Investigation)। সব ধর্ম-সম্প্রদায়ের বাচ্চাদের পাশাপাশি বসে খাওয়ার মধ্যেই সম্প্রীতির ছবি ফুটে ওঠে।
আরও পড়ুন: Murshidabad Waqf Violence Case: মুর্শিদাবাদে এনআইএ তদন্তের আর্জি খারিজ করল হাইকোর্ট
‘খাবারও ভাগাভাগি করেই খাব’
ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই মালদার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) মলয় মণ্ডল মোথাবাড়ি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (এসআই) অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আসলে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ এবং মোথাবাড়ি এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তারপর থেকেই স্পর্শকাতর বিষয়ে প্রশাসন অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রাখছে। সেখানে এমন ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও মোথাবাড়ির বাঙিটোলা ফিল্ডপাড়ার বাসিন্দা সন্দীপ এবং সোলেমান বৃহস্পতিবারেও বলেছে, ‘‘আমরা একসঙ্গে স্কুলে যাই। একসঙ্গে যাব। খাবারও ভাগাভাগি করেই খাব।”
প্রত্যেক বাচ্চার জন্য আলাদা থালা
বিদ্যালয় পরিদর্শক মলয় মণ্ডল বলেন, ‘‘কী উদ্দেশ্যে ভিডিয়োটি করা হয়েছিল, স্কুলে মিড ডে মিলের পরিকাঠামো কেমন, খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ রেজাবুল হোসেন জানান, স্কুলে মিড ডে মিলের জন্য রান্নাঘর, ‘ডাইনিং রুম’, প্রত্যেক বাচ্চার জন্য আলাদা থালা রয়েছে। তবে অনেকে খেতে বসে খাবার ভাগাভাগি করে খায়। শিক্ষা দফতরকে সব জানানো হবে।