ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডিম এমন একটি খাবার যে, বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়(Egg Cooking)। সেদ্ধ, ভাজা, পোচ, ভুর্জি, কষা এমনকি ডিমের পাতলা ঝোলও মন্দ লাগে না। নিয়মিত ডিম খাওয়া জরুরি। তবে ডিম রান্নার সময় একটু সাবধান থাকা জরুরি। রান্নার ভুলত্রুটিতে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন কীভাবে রান্না করলে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়না।
প্রোটিনের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার (Egg Cooking)
ডিম হলো প্রোটিনের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার(Egg Cooking)। অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পুষ্টিবিদরা রোজ ২টি করে ডিম খাওয়ার কথা বলেন। তা ছাড়া হাড় এবং পেশি শক্তিশালী করতেও ডিম খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু বিস্বাদ ডিম খেতে কার ভালো লাগে? ডিম কিন্তু কীভাবে রান্না করছেন তার উপর নির্ভর করেই এর স্বাদ বজায় থাকে। তাই সিদ্ধ বা রান্না করার সময় সেই বুঝে ডিম রান্না করা উচিত।
ডিম বেশিক্ষণ সিদ্ধ করবেন না (Egg Cooking)
ডিম সেদ্ধ করার সময় কত ক্ষণ ফোটাবেন তা অনেক সময় বোঝা যায় না(Egg Cooking)। মোটামুটি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম চাইলে ১০ থেকে ১২ মিনিট ডিম সেদ্ধ করুন। তার পর গরম জলেই ডিমগুলি খানিক ক্ষণ রেখে দিন। ভাপেই সেগুলি সেদ্ধ হয়ে যাবে। বেশি ক্ষণ ধরে জলে ফোটালে কুসুমের স্বাদ খারাপ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:Chhena Recipes: ছানার শুধু মিষ্টি না, বানানো যায় ঝাল ঝাল তরকারি-ও
ফ্রিজ থেকে সরাসরি বার করে ব্যবহার করবেন না
ফ্রিজ থেকে সরাসরি বার করে ডিম ব্যবহার করবেন না। বেকিংয়ের সময় অনেক ক্ষেত্রেই ডিম ব্যবহার করা হয়(Egg Cooking)। ফ্রিজে থাকা ডিমে বেকিংয়ে ব্যবহার করলে স্বাদ বিগড়ে যায়। সেই সঙ্গে ডিমের কোনও পুষ্টিগুণও বজায় থাকে না তা ছাড়া ঠান্ডা ডিম ব্যবহার করলে কেক, কুকিজ় ঠিক মতো বেক হবে না। বেকিংয়ের প্রস্তুতির আগে ডিম ফ্রিজ থেকে বার করে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রায় এলে সেগুলি ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন:Milk Recipe: দুধ দিয়ে মজাদার হরেক সব রেসিপি, নামেই জল আসে জিভে
খুব কম তেল দেবেন না
অল্প তেলে ডিমের অমলেট কিংবা পোঁচ রান্নার সময় কড়াইতে সেগুলি লেগে যায়। কড়াই থেকে সহজে ডিম তোলা যায় না। তাই পোচ কিংবা ডিম ভাজার ক্ষেত্রে ননস্টিক প্যান ব্যবহার করলে ভালো। আর ডিম সেদ্ধ করার সময় কানা উঁচু পাত্র ব্যবহার করুন। তাতে সুবিধা হবে। ডিম ভাজার সময় খুব কম তেল দেবেন না। যতটা প্রয়োজন হবে তততাই দিন।