ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে চর্চিত নাম — ইলন মাস্ক (Elon Musk)। এবং তাঁর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য সংঘাত এখন বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয়। এমন এক টানটান পরিস্থিতিতে, মাস্কের জন্য আশ্রয়ের প্রস্তাব এল রাশিয়ার দিক থেকে — যদিও আপাতত তা স্রেফ সম্ভাবনার স্তরেই রয়েছে।
রাশিয়া দেবে রাজনৈতিক আশ্রয়? (Elon Musk)
রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা-এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি নভিকভ জানিয়েছেন, যদি কখনও মাস্ককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হয়, তবে রাশিয়া তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে প্রস্তুত(Elon Musk)। যদিও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে ক্রেমলিন এই বিষয়ে নিজেকে এখনও সরিয়ে রেখেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘‘এটি একান্তভাবেই আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। রাশিয়া এই বিতর্কে জড়াতে চায় না।’’
কেন উঠে এল ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’-এর প্রসঙ্গ?(Elon Musk)
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মার্কিন রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে কর হ্রাস সংক্রান্ত ‘জনকল্যাণমূলক বিল’(Elon Musk)। ট্রাম্পের সমর্থনে কংগ্রেসে পাস হওয়া এই বিলে রেমিট্যান্স কর কমানোর বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তাঁর মতে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়বে। ট্রাম্প, যিনি মাস্ককে তাঁর প্রশাসনের “সরকারি দক্ষতা বিষয়ক উপদেষ্টা” হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন, সেই সমালোচনার পর প্রকাশ্যে মাস্কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।এই দ্বন্দ্বের মাঝেই হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন পরামর্শদাতা স্টিভ ব্যানন সরাসরি দাবি করেন, মাস্ককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা উচিত। এমনকি তাঁর সংস্থা স্পেসএক্স অধিগ্রহণেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ব্যাননের দাবি, “মাস্কের আমেরিকায় বসবাস বেআইনি হতে পারে। তাঁর ‘ভিসা স্ট্যাটাস’ খতিয়ে দেখা জরুরি।”

আরও পড়ুন: Big Beautiful Bill : ভারতের উপর কী প্রভাব পড়বে ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’-এর ?
মাস্ক কি সত্যিই রাশিয়ায় যাবেন?(Elon Musk)
এই বিতর্কের জেরে যখন আমেরিকায় মাস্কের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখনই নভিকভের এই মন্তব্য সামনে আসে(Elon Musk)। তাঁর বক্তব্য, “মাস্ক সম্পূর্ণ অন্য খেলা খেলছেন। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, রাশিয়া তাঁকে আশ্রয় দিতে তৈরি। যদিও এখনই এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।” তিনি আরও বলেন, “মাস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে অতীতে কিছু মতপার্থক্য থাকলেও, রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে তা ভুলে যাওয়া যেতে পারে।”

ভবিষ্যতের ইঙ্গিত?(Elon Musk)
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত নিছক ব্যক্তি বিশেষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়(Elon Musk)। ট্রাম্প ও মাস্ক, উভয়েই আমেরিকার রাজনীতিতে এক একটি ‘পাওয়ার সেন্টার’। ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকানদের মধ্যে মাস্কের মতো প্রযুক্তি ও ব্যবসার দিগন্তজয়ীর সমালোচনা অভূতপূর্ব ঘটনা।বিশ্ব রাজনীতিতে প্রযুক্তি-ধনকুবেরদের ভূমিকা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এই সংঘাত তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এখন দেখার, ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্বের আগুন ভবিষ্যতে আরও কী কী বিতর্ক জন্ম দেয় — এবং তাতে রাশিয়া আদৌ কোন ভূমিকায় থাকে।