ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমেরিকার সরকারি কর্মীরা নতুন এক (Elon Musk in the US) সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছেন। সম্প্রতি, সরকারি কর্মীদের কাছে একটি ইমেল পাঠানো হয়েছে, যাতে গত সপ্তাহের কাজের বিস্তারিত রিপোর্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট সোমবার রাত ১২টার মধ্যে জমা দিতে হবে। এই নির্দেশনা নিয়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
নেপথ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারসাজি? (Elon Musk in the US)
এই নির্দেশনার পিছনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের (Elon Musk in the US) হাত রয়েছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি কোনো কর্মী সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তা তার ইস্তফা হিসেবে গণ্য হবে। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, সরকারি দপ্তরগুলোতে ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, আমেরিকার উন্নয়নের জন্য সরকারি কর্মীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি ইলন মাস্ককে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন।
চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা! (Elon Musk in the US)
এই নির্দেশনা আমেরিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা (Elon Musk in the US) দপ্তর (ওপিএম) থেকে জারি করা হয়েছে। রিপোর্টে কর্মীদের গত সপ্তাহের কাজের প্রতিটি কাজ উল্লেখ করতে হবে। তবে, সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে কর্মীদের। আমেরিকায় প্রায় ২৩ লক্ষ সরকারি কর্মী রয়েছেন, যারা এই নির্দেশনার ফলে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: Steadfast Dart 2025: ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে নেটোর সেনা মহড়া স্টেডফাস্ট ডার্ট ২০২৫
কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ!
এই নির্দেশনা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। অনেক কর্মী বর্তমানে ছুটিতে আছেন, আবার কেউ কেউ এমন জায়গায় কাজ করেন যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা সীমিত। প্রতিরক্ষা বিভাগের কিছু কর্মী এমন স্থানে অবস্থান করেন যেখানে সরকারি ইমেল ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাদের পক্ষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। এছাড়া, কিছু কর্মীর কাজের তথ্য গোপনীয় হওয়ায় তারা রিপোর্টে কিছুই লিখতে পারবেন না।
সরকারি দপ্তরের মধ্যে বিরোধ!
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মধ্যে বিরোধও শুরু হয়েছে। অনেক দপ্তরের প্রধান তাদের কর্মীদের এখনই রিপোর্ট জমা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা প্রথমে এই নির্দেশনার বৈধতা যাচাই করতে চান। এরপর কর্মীরা রিপোর্ট জমা দেবেন।

এখনই রিপোর্ট জমা ‘না’
এফবিআই-এর নতুন প্রধান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ পটেলও এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। তিনি তার দপ্তরের কর্মীদের এখনই রিপোর্ট জমা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এফবিআই এই নির্দেশনা নিয়ে তদন্ত করছে এবং পরবর্তী নির্দেশিকা দেওয়া হবে।
এই ঘটনা আমেরিকার সরকারি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার একটি কৌশল। সরকারি কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, এবং এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কতদূর যাবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশাপাশি আমেরিকার প্রশাসনিক ব্যবস্থাও একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।