ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীয় মোড় (Elon musk On Trump)। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’, এখন একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সংঘাতে জড়িয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald J. Trump) ও টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে স্পষ্ট, এই সম্পর্ক এখন চরম তিক্ততায় পর্যবসিত।
ট্রাম্প বনাম মাস্ক বাকযুদ্ধ (Elon musk On Trump)
ঘটনার সূত্রপাত ট্রাম্পের একটি মন্তব্যকে ঘিরে(Elon musk On Trump)। সম্প্রতি এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি দাবি করেন, পেনসিলভেনিয়ায় জয়লাভের জন্য তাঁর মাস্কের কোনও প্রয়োজন ছিল না। তাঁর এই বক্তব্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই, মাস্ক পাল্টা জবাব দেন। তিনি এক্স -এ লেখেন, “আমার সাহায্য না পেলে ট্রাম্প জিততেই পারতেন না।” যদিও কীভাবে তিনি সাহায্য করেছিলেন, তার বিশদ ব্যাখ্যা দেননি তিনি। তবে মাস্কের দাবি, তাঁর সহযোগিতা না থাকলে হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টিটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত ডেমোক্র্যাটরা।
কী ফাঁস করবেন মাস্ক? (Elon musk On Trump)
তবে দ্বন্দ্ব এখানেই থেমে থাকেনি। মাস্ক ‘বড় বোমা’ ফাটানোর হুমকি দিয়ে দাবি করেন, বিতর্কিত ‘এপস্টাইন ফাইল’-এ ট্রাম্পের নাম রয়েছে এবং সে কারণেই ফাইলটি সম্পূর্ণ প্রকাশ্যে আনা হয়নি (Elon musk On Trump)। মাস্ক বলেন, “ভবিষ্যতের জন্য এটা মনে রাখুন, সত্যি এক দিন সামনে আসবে।” এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শোরগোল পড়ে গেছে মার্কিন রাজনৈতিক মহলে।প্রসঙ্গত, জেফ্রি এপস্টাইন এক বিতর্কিত ফিনান্সিয়াল ও সমাজপতি, যিনি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আত্মহত্যা করেন। তাঁর সঙ্গে বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। এর আগেও শোনা গিয়েছিল, ট্রাম্প একাধিকবার এপস্টাইনের ব্যক্তিগত বিমানে ভ্রমণ করেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি ট্রাম্প।

ট্রাম্পকে ‘ইমপিচ’ করার দাবি মাস্কের (Elon musk On Trump)
এই সমস্ত ঘটনার পটভূমিতে, ট্রাম্প এক সময় যাঁকে বিশেষ পরামর্শদাতা করে প্রশাসনে নিযুক্ত করেছিলেন, সেই মাস্কই এখন তাঁকে ‘ইমপিচ’ করার আহ্বান জানাচ্ছেন (Elon musk On Trump)। মাস্ক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ট্রাম্পকে সরিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে বসানো উচিত।” উল্লেখযোগ্য, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে ট্রাম্প ‘সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর’ তৈরি করে মাস্ককে সেই দফতরের প্রধান করেছিলেন। দায়িত্ব ছিল প্রশাসনিক খরচ কমানোর। কিন্তু ট্রাম্পের ‘জনকল্যাণমূলক বিল’কে “জঘন্য” আখ্যা দিয়ে মাস্ক সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন।

আরও পড়ুন: Donald Trump : পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! আলোচনায় ড্রোন হামলা থেকে ইরানের পরমাণু চুক্তি
‘এপস্টাইন ফাইল’ (Elon musk On Trump)
এই দ্বন্দ্ব ইতিমধ্যেই বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে—রাজনৈতিক, আর্থিক এবং ব্যক্তিগত। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্কের এই ভাঙন শুধু দুই ব্যক্তিত্বের সংঘাত নয়, বরং রিপাবলিকান দলের ভবিষ্যৎ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি, মাস্ক যদি সত্যিই ‘এপস্টাইন ফাইল’-এর অপ্রকাশিত অংশ সামনে আনেন, তাহলে তা ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।মুহূর্তে মুহূর্তে উত্তপ্ত হচ্ছে এই সংঘাত। ট্রাম্পের হতাশা ও মাস্কের হুমকি—দুই মিলে ওয়াশিংটনে নতুন এক অনিশ্চয়তার ছায়া ঘনিয়ে এসেছে।