ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্ববিখ্যাত ধনী এলন মাস্ক ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব লিভারপুল কেনার (Elon Musk to Buy Liverpool) ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা এরল মাস্ক।
টাইমস রেডিও-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরল মাস্ক বলেছেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ওরা তাহলে দাম বাড়িয়ে দেবে।”
যখন তাকে আরও বিস্তারিত জানার জন্য চাপ দেওয়া হয়, তখন এরল মাস্ক বলেন, “হ্যাঁ, এলন এটা করতে চায়। তবে এর মানে এই নয় যে সে এটি কিনছে। এলন চাইবে, এটা স্বাভাবিক। আমিও চাইব।”
লিভারপুলের বর্তমান অবস্থা (Elon Musk to Buy Liverpool)
লিভারপুল ক্লাব বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে (Elon Musk to Buy Liverpool)। ক্লাবটি ২০২০ সালে ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতে। এর আগে, ২০১৯ সালে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও জিতেছিল।
এই ক্লাবটি ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ (এফএসজি)-এর মালিকানাধীন, যারা ২০১০ সালে ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডে ক্লাবটি কিনেছিল। যদিও এফএসজি ক্লাব বিক্রির বিষয়ে কোনও ঘোষণা করেনি। কিন্তু তারা অতীতে বাইরের বিনিয়োগ গ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, এফএসজি মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডাইনেস্টি ইকুইটির কাছে একটি সংখ্যালঘু অংশীদারিত্ব বিক্রি করেছিল।
গুজবের প্রতিক্রিয়া (Elon Musk to Buy Liverpool)
এরল মাস্কের মন্তব্যের পর এলন মাস্ক লিভারপুল কেনার পরিকল্পনা করছেন বলে জল্পনা শুরু হয় (Elon Musk to Buy Liverpool০। এই সম্পর্কে এফএসজির এক মুখপাত্র অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, “এই গুজবের কোনও ভিত্তি নেই।” স্কাই স্পোর্টসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফএসজি ক্লাব কেনার জন্য কোনও প্রস্তাব পায়নি।
লিভারপুল ক্লাবের মূল্যায়ন
ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, লিভারপুল বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ সবচেয়ে মূল্যবান ফুটবল ক্লাব। এর আনুমানিক মূল্য ৪.৩ বিলিয়ন পাউন্ড।
লিভারপুলের সঙ্গে মাস্ক পরিবারের সম্পর্ক
এরল মাস্ক আরও জানান, তাদের কিছু আত্মীয় লিভারপুলে বাস করেন। তিনি বলেন, “আমরা সৌভাগ্যবান ছিলাম যে বিটলসের অনেক সদস্য আমাদের পরিবারের সঙ্গে বেড়ে উঠেছে।”
আরও পড়ুন: Kaif on Bumrah: বুমরাকে অধিনায়ক করা উচিত নয়! কেন বললেন কাইফ?
এলন মাস্ক ও রাজনীতি
টেসলা সিইও এলন মাস্ক বর্তমানে মার্কিন রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুনভাবে ঘোষিত উপদেষ্টা দল “ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি” বা “ডজ” পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন।
এছাড়াও, মাস্ক জার্মানি ও ব্রিটেনের রাজনীতিতেও সক্রিয়। ব্রিটেনে, মধ্য-বাম লেবার পার্টি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স ব্যবহার করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।