Last Updated on [modified_date_only] by Anustup Roy Barman
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে (EMI Drop) ৬ শতাংশ থেকে ৫.৫ শতাংশ করার ফলে ব্যাংকগুলি ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেপো রেট কমল, EMI-র বোঝাও কমছে (EMI Drop)
যাদের বাড়ির লোন আছে, তাদের জন্য সুখবর (EMI Drop)। মাসে ১,৫০০ টাকারও বেশি কমে যেতে পারে EMI। এই সুবিধা এসেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)-র সদ্য নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে। RBI রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৬ শতাংশ থেকে ৫.৫ শতাংশ করেছে। এর ফলে ব্যাংকগুলি এখন লোনে সুদের হার কমানোর পথে হাঁটবে।
একটা ৫০ লক্ষ টাকার হোম লোন যদি ২০ বছরের জন্য নেওয়া হয়, তাহলে মাসে EMI প্রায় ১,৫৬৯ টাকা কমবে। বছরে এতে প্রায় ১৯,০০০ টাকা সাশ্রয় হবে। বর্তমান জীবনযাত্রার খরচের মাঝে এটা এক বিশাল স্বস্তি।
আরও পড়ুন: Covid 19: দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, রথের আগে পুরীতে জারি সতর্কতা!
রেপো রেট কী এবং কীভাবে কাজ করে? (EMI Drop)
রেপো রেট হল সেই সুদের হার, যার ভিত্তিতে RBI দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে টাকা ধার দেয়। এই হার কমলে ব্যাংকগুলি কম সুদে RBI থেকে ঋণ নিতে পারে, ফলে তারাও গ্রাহকদের কম সুদে লোন দিতে পারে।
এই সিদ্ধান্ত সরাসরি প্রভাব ফেলে সেই সব গ্রাহকদের উপরে, যাদের হোম লোন রেপো বেসড লেন্ডিং রেট (RBLR)-এর সঙ্গে যুক্ত।
কী হবে হিসাব?
ধরুন, আপনার ৫০ লক্ষ টাকার হোম লোন আছে, সুদের হার ৮.৫ শতাংশ এবং সময়কাল ২০ বছর। এই অবস্থায় আপনার মাসিক EMI দাঁড়াবে প্রায় ৪৩,৩৯১ টাকা। এখন, রেপো রেট কমে যাওয়ায় যদি ব্যাংক আপনার সুদের হার ৮ শতাংশ করে দেয়, তাহলে EMI কমে হবে প্রায় ৪১,৮২২ টাকা।
আরও পড়ুন: PM Kisan Yojana: মোদির PM কিষাণ, বছরে ৬ হাজার টাকা সরাসরি কৃষকের হাতে!
রিয়েল এস্টেট শিল্পে খুশির হাওয়া
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, RBI-র এই সিদ্ধান্ত হোম লোন নেওয়াকে আরও সহজ করবে। এতে শুধু EMI কমবে না, সাধারণ মানুষের জন্য বাড়ি কেনাও আরও সাশ্রয়ী হবে। তিনি আরও বলেন, সুদের হার কমলে শুধু ব্যক্তিগত ক্রেতারাই উপকৃত হন না, গোটা রিয়েল এস্টেট বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর এই বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকে বহু শিল্প, যারাও উপকৃত হবে।
শুধু হোম লোন নয়, সব ঋণেই মিলবে সাশ্রয়
এই সুদের হার কমার ফলে শুধু হোম লোন নয়, পার্সোনাল লোন, অটো লোন ও অন্যান্য রিটেল ঋণের EMI-ও কমবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের উপর থেকে ধীরে ধীরে কমতে পারে ঋণের চাপ।
