ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পৌষ পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে মহাশিবরাত্রিতে(Mahakumbha 2025) আজ অবসান হবে মহাকুম্ভের। শেষ দিনে রয়েছে কুম্ভ। ১৪৪ বছর পর পর আসা মহাকুম্ভে পূণ্যস্নানের এই বিশেষ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না পূণ্যার্থীরা। কোটি কোটি মানুষ পুন্যস্নানে গেছেন মহাকুম্ভে। দেশ বিদেশ থেকে মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। প্রয়াগরাজে ৪৫ দিন ধরে চলা মহাকুম্ভের অবসান হবে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে। শেষ দিন ত্রিবেণী সঙ্গমে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। জ্যোতিষ গণনা বলছে মহাকুম্ভের শেষ দিনে রয়েছে এক বিরল শুভ যোগ। যার কারণে এই বছর আরও বেড়েছে মহাশিবরাত্রির মাহাত্ম্য। শেষ দিনে রয়েছে কুম্ভ রাশিতে বিরল ত্রিগ্রহী যোগ। আজকের দিন বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত। জেনে নিন এই দিনটির মাহাত্ম্য।
বিভিন্ন গ্রহের যোগ (Mahakumbha 2025)
শাস্ত্র অনুসারে মানুষের শরীর একটি পাত্রের মতো, যা আত্মাকে ধারণ করে রাখে। মহাকুম্ভে(Mahakumbha 2025) স্নান, ধ্যান ও পুজো করার ফলে আমাদের এই শরীর নামক পাত্র শুদ্ধ হয়, বিবেক জাগ্রহ হয় এবং সাংসারিক মোহ-মায়া থেকে মুক্তি মেলে। নিজের আত্মাকে উপলব্ধি করতে পারি আমরা। আজ মহাশিবরাত্রির সন্ধেয় চাঁদও শনির অপর রাশি মকরে গোচর করবে। শুক্র ও রাহু রয়েছে মীন রাশিতে। দেবগুরু বৃহস্পতি অবস্থান করছে বৃষতে। মঙ্গল রয়েছে মিথুন এবং কেতু কন্যা রাশিতে।

পঞ্চমহাপুরুষ যোগ (Mahakumbha 2025)
বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে কুম্ভ হল শনির রাশি। রাশিচক্রের একাদশতম রাশি কুম্ভ। অমৃতকুম্ভের ধারনা থেকেই প্রচলন হয় কুম্ভমেলার(Mahakumbha 2025)। প্রয়াগরাজে যে সময় মহাকুম্ভের অবসান হচ্ছে, সেই সময় কুম্ভ রাশিতে গঠিত হয়েছে বিরল ত্রিগ্রহী যোগ। শনি, সূর্য ও বুধ – এই তিন গ্রহই এখন অবস্থান করছে কুম্ভ রাশিতে। এর মধ্যে শনি রয়েছে তার নিজের রাশিতেই। নিজের রাশিতে মাঝখানে শনি, একপাশে সূর্য ও অন্যপাশে বুধ — এই যুতির ফলে গঠিত হয়েছে জ্যোতিষ দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ যোগ পঞ্চমহাপুরুষ যোগ।

আরও পড়ুন: Mahashivratri 2025: জানুন মহাদেবের প্রিয় রুদ্রাক্ষ ধারণের নিয়ম ও উপকারিতা
অমৃতকুম্ভ
শনির রাশি কুম্ভের চিহ্ন হল অমৃত কলস। কুম্ভ অর্থে কলস। এই কুম্ভে বর্তমানে রয়েছে সৌরজগতের রাজা সূর্য, কর্মফলের দেবতা শনি এবং জ্ঞান-বুদ্ধির কারক গ্রহ বুধ। এই তিন গ্রহের উপস্থিতিতে কুম্ভে(Mahakumbha 2025) গঠিত হয়েছে ত্রিগ্রহী যোগ। পুরাণ অনুসারে সূর্য ও শনি সম্পর্কে বাবা-ছেলে। শনির পাশে থেকে নিজের অনন্ত শক্তির বিচ্ছুরণ শনির মধ্যে করাচ্ছেন সূর্যদেব।

কুম্ভ রাশিতে সূর্যের গোচর
এই বিশেষ যোগে সূর্যের আলো ত্রিবেণী সঙ্গমের জলে পড়ে অমৃত ক্ষরণ হচ্ছে বলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। সেই কারণে এই সময় এই জলে স্নান করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, ফাল্গুন মাসে কুম্ভ রাশিতে সূর্যের গোচরের ফলে মানুষের বিবেক জাগ্রত হয়। জীবনের বিভিন্ন সমস্যা, বা বাঁধা থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব এই অমৃত স্নানের ফলে।