ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রয়াত প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ(SM Krishna)। মঙ্গলবার ভোররাতে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও কর্নাটকের মানুষের কাছে তিনি স্মরণীয়। তাঁর হাত ধরেই বদলে গিয়েছিল কর্নাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যকে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ(SM Krishna)। ১৯৩২ সালে মাণ্ড্য জেলার সোনমাহালিতে জন্ম এস এম কৃষ্ণের। কংগ্রেস নেতা হিসেবে দীর্ঘ সময় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। শেষের দিকে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। মূলত বেঙ্গালুরুকে(Bengaluru) টেক ক্যাপিটাল বা প্রযুক্তি তালুক তৈরি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল এস এম কৃষ্ণের।
আরও পড়ুন: Mamata on Bangladesh: বাংলাদেশ নিয়ে সংযত থাকার বার্তা, ‘কলকাতা দখলে’র হুমকিকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
শোকস্তব্ধ দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক মহল (SM Krishna)
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ভোর পৌনে তিনটে নাগাদ বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাজনৈতিক কেরিয়ারের অনেকটা সময় কংগ্রেসে কাটালেও শেষদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক মহল। তাঁর মৃত্যুর কথা শুনে শোক প্রকাশ করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া(Siddaramaiah)। শোক প্রকাশ করেছেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি একজন সত্যিকারের নেতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন এস এম কৃষ্ণকে।
রাজনীতির ময়দানে অভিষেক এস এম কৃষ্ণর (SM Krishna)
১৯৬২ সালে রাজনীতির ময়দানে অভিষেক হয় এস এম কৃষ্ণর। প্রজা সোশালিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসাবে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হারিয়ে দেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ৬ বছর পরে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। ১৯৭২ সালে ফের কর্নাটকের নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি, তবে কংগ্রেসের টিকিটে। ১৯৯৯ সালে কৃষ্ণর নেতৃত্বেই কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে জেতে হাত শিবির। মুখ্যমন্ত্রী হন কৃষ্ণ।
এস এম কৃষ্ণের (SM Krishna) আমলেই পরিচিতি পায় বেঙ্গালুরু
তাঁর আমলেই বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি পায় বেঙ্গালুরু। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো ব্যাপক উন্নতি করে এই সময়ে। কৃষ্ণর আমল থেকেই বেঙ্গালুরু ধীরে ধীরে ভারতের ‘সিলিকন ভ্যালি’ হয়ে ওঠে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হন ২০০৪ সালে।
পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন এস এম কৃষ্ণ (SM Krishna)
২০০৯ সালে বিদেশমন্ত্রীও হন এসএম কৃষ্ণ। তবে ২০১৭ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে কৃষ্ণ যোগ দেন বিজেপিতে। ভারতের রাজনীতিতে মূল্যবান অবদানের জন্য ২০২৩ সালে পদ্মবিভূষণে (Padma Vibhushan) সম্মানিত করা হয় এস এম কৃষ্ণকে।গত বছর জানুয়ারি মাসে রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নেন। মঙ্গলবার তিনি নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।