ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে তৈরি হওয়া যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি (Mock Drill In India) মোকাবিলায় বুধবার (৭মে) সারা দেশে মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই কর্মকাণ্ডে নাগরিক, দলের নেতা-কর্মী এবং ছাত্রদের এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাল সর্বভারতীয় বিজেপি। মঙ্গলবার সর্বভারতীয় বিজেপির এক্স হ্যান্ডল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা পোস্ট করে ওই আহ্বান জানানো হয়েছে। ১৯৭১ সালের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রথমবার এ ধরনের মহড়ার নির্দেশ দিল। নির্দেশ কার্যকর করতে হবে প্রধানত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশের ২৪৪ জেলায় এই মহড়া চালানো হবে। মহড়া দিতে হবে গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও।
শেষবার হয়েছিল ৫৪ বছর আগে (Mock Drill In India)
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে যে যুদ্ধকালীর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়া হতে চলেছে, তেমন প্রশিক্ষণ শেষ বার হয়েছিল ৫৪ বছর আগে ১৯৭১-এর যুদ্ধে (Mock Drill In India)। কারগিল সংঘাতের সময় এমন নির্দেশ দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী ২০০১-এ সংসদে পাক জঙ্গি হামলার পর ভারত সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করলেও নাগরিকদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়নি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী অবশ্য শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। মনে করা হচ্ছে, যুদ্ধের প্রস্তুতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া যাচাই করে নিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
মূল দায়িত্ব অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের (Mock Drill In India)
যুদ্ধকালীন সময়ে নাগরিকদের কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়? সব রাজ্যকেই এই ব্যাপারে সোমবার পাঠানো নির্দেশিকায় করণীয় জানিয়েছে দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Mock Drill In India)। রাজ্য রাজ্যে মহড়া পরিচালনার মূল দায়িত্ব অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের। যুদ্ধের সময় শক্রু বিমান হানার খবর পাওয়া মাত্র সাইরেন বাজিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করার ব্যবস্থা রাখতে হয়। যুদ্ধে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া, শুশ্রূষার জন্য অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের স্বেচ্ছাসেবক, হোমগার্ড এবং এনসিসি-র ক্যাডেটদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় এই তিন অসামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Supreme Court: সামনে এল কার কাছে কত টাকা? বিচারপতিদের সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট
২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে
বুধবার সব মিলিয়ে দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় ‘মক ড্রিল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। তাতে রয়েছে কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফরাক্কা, খেজুরিঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদের মতো জায়গা। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের আগে শেষ বার এই রকম অসামরিক মহড়া হয়েছিল। ৫৪ বছর পরে তেমনটা হতে চলেছে বুধবার।