ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: তেলাঙ্গানায় রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে(Chemical Factory)। আরও ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।ঘটনাটি ঘটেছে সঙ্গারেড্ডি জেলার পাশামাইলরাম সিগাচি রাসায়নিক শিল্পে।
বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ড (Chemical Factory)
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে কারখানায় আচমকাই একটি চুল্লি ফেটে বিস্ফোরণের পর চারিদিকে আগুন লেগে যায়(Chemical Factory)।সেই সময় কারখানায় কাজ করছিলেন বহু শ্রমিক।স্থানীয়রা দৌড়ে গিয়ে দেখেন, কারখানার ছাদ উড়ে গিয়ে ১০০ মিটার দূরে পড়েছে। বিস্ফোরণ হতেই আতঙ্কে চারিদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন কর্মীরা।খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন এবং পুলিশ। কিন্তু ১২ জন শ্রমিককে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি কারখানার মধ্যে অনেক শ্রমিক আটকা পড়েন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। তেলাঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী রেভন্থ রেড্ডি এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধারকাজ আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ (Chemical Factory)
জানা গেছে, রাসায়নিক কারখানায় চুল্লি ফেটে জোরালো বিস্ফোরণে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন(Chemical Factory)।তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়ে ওঠে, ঘন কালো ধোঁয়া পুরো এলাকাকে গ্রাস করে। আশেপাশের শ্রমিক ও বাসিন্দাদের মধ্যে দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশামিলারাম শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ফেজ ১-এর সিগাচি ফার্মা সংস্থার কারখানায় আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে।ঘটনার পরে তৎক্ষণাৎ দমকল বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, স্থানীয় পুলিশ এবং হাইড্রা ক্রেন নিয়ে উদ্ধারকার্য শুরু করে।
আরও পড়ুন-Manipur: আবারও অশান্ত মণিপুর! পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি, মৃত ৪
পুলিশের তদন্ত শুরু (Chemical Factory)
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ দমকল ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে(Chemical Factory)। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, কারখানার ভেতরে অত্যাধিক দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ মজুত থাকার কারণে আগুন দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া শ্রমিকদের খুঁজে বের করার জন্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত অনুসন্ধান শুরু করে। বিপজ্জনক পরিস্থিতি সত্ত্বেও উদ্ধারকারী দলগুলি জীবিতদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকার্য জারি রাখে।একই সঙ্গে, তদন্তকারীরা বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানার চেষ্টা করছেন। কর্মকর্তাদের অনুমান, চুল্লির ত্রুটির কারণে এই ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এদিকে, এখনও অনেক শ্রমিকের খোঁজ নেই। সেই কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-Dalai Lama: ৯০তম জন্মদিনের আগেই উত্তরসূরি ঘোষণার সম্ভাবনা দলাই লামার, সজাগ চিন
উচ্চ সতর্কতা (Chemical Factory)
বর্তমানে পুরো শিল্পাঞ্চলটি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে(Chemical Factory)। সুরক্ষার্থে আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কোন রকম সতর্কতা ছাড়াই বিস্ফোরণ ঘটে। কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রোটোকল যথাযথ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ইতিমধ্যে সঙ্গারেড্ডির জেলা কালেক্টর পি প্রবিন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন।
