ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকার মাহিনগরে (Extra Marrital Affair) ঘটে গেল হাড় হিম করা ঘটনা। পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন এক তরুণী। সেই জেড়ে নিজের স্বামীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ঘরে নিজের জীবনেই ঘটে গেল। স্বামীর হাতে ‘খুন’ হতে হল তাঁকে। এই কাণ্ড ঘটানোর পর থানায় আত্মসমর্পণ করে স্ত্রীকে হত্যার কথা কবুল করেছে স্বামী।
পাশাপাশি থাকার সুবাদে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক (Extra Marrital Affair)
সোমবার গভীর রাতে রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের মাহিনগরে। সকালে খুনের কথা জানাজানি হতে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকার মাহিনগরের ঘটনা। ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা এলাকার বাসিন্দা বাপি গায়েন। বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন প্রতিবেশী প্রিয়াঙ্কাকে (Extra Marrital Affair)। বিয়ের পর বাপি পার্কসার্কাসের একটি কারখানায় চাকরি পান। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে সোনারপুরের মাহিনগরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। ভাড়াবাড়ির পাশের ঘরে থাকতেন সুপ্রকাশ দাস ও তাঁর স্ত্রী। সূত্রের খবর, পাশাপাশি থাকার সুবাদে ধীরে ধীরে প্রিয়াঙ্কা ও সুপ্রকাশের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ভাড়াবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র (Extra Marrital Affair)
তাদের এই পরকীয়া প্রেম বেশিদিন গোপনও থাকেনি। বিষয়টি জানতে পারেন বাপি। তাঁর সংসারে অশান্তি শুরু হয় (Extra Marrital Affair)। এসবের মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে ওই ভাড়াবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান সুপ্রকাশ। তারপরও অবশ্য প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাঁর প্রেম চলছিল। শোনা যায়, দু’জনে মাঝেমাঝে ধানমাঠ এলাকার একটি বাড়িতে গিয়ে একসঙ্গে সময় কাটাতেন। এসব খবর কানে পৌঁছয় বাপির। স্বভাবতই রেগে ওঠেন বাপি। এই নিয়ে স্ত্রীর সাথে দিনের পর দিন বাড়তে থাকে অশান্তি।
ষড়যন্ত্রের কথা শুনে ফেলেন
এই অশান্তি সহ্য করতে না পেরে নিজের স্বামীকেই খুনের পরিকল্পনা করে প্রিয়াঙ্কা তার প্রেমিকের সাথে মিলে। স্বামীকে সরাতে সুপ্রকাশের সঙ্গে মিলে বাপিকে হত্যার ছক কষে প্রিয়াঙ্কা। ফোনে এনিয়ে দু’জনে আলোচনার সময়ে প্রিয়াঙ্কার ষড়যন্ত্রের কথা শুনে ফেলেন বাপি। এরপরই নিজেকে বাঁচাতে বাপি উলটে স্ত্রীকেই খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার রাতে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ঘুমিয়ে পড়তেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাপি।
থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ
স্ত্রীকে খুনের পর নিজের অপরাধ স্বীকার করে সোজা সোনারপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত বাপিকে জেরা করে ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকীয়া থেকেই এই পরিণতি। তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। প্রতিবেশীরাও এই কথা জানিয়েছে যে প্রিয়াঙ্কা ও বাপির মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগেই থাকত।