ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যাদবপুরে (Jadavpur Incident) নিজের কিশোরী মেয়েকে তিন তলা বাড়ির ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তারই বাবার বিরুদ্ধেই। ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুরের আনন্দপল্লীতে। প্রতিবেশীদের তৎপরতায় গুরুতর আহত ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যক্তির নাম চিন্ময়।
অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে (Jadavpur Incident)
আনন্দপল্লীর বাসিন্দা চিন্ময় গোপ এলাকাতেই একটি বহুতলে তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন (Jadavpur Incident)। নিজের ১৫ বছরের কিশোরী কন্যাকে বাড়ির তিন তলার বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে দেয় বলেই অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকজন আহত কিশোরীকে এম.আর. বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। নাবালিকা বর্তমানে সেইখানেই চিকিত্সাধীন। এক প্রতিবেশীর দাবি, চিকিত্সকরা জানিয়েছেন নাবালিকার গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। ডান পা প্লাস্টার করা হয়েছে। নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
শুক্রবার রাতে বাড়িতে ঝামেলা (Jadavpur Incident)
নাবালিকার মা দীর্ঘদিন থাকেন না বাড়িতে (Jadavpur Incident)। বাবা ও মেয়ে থাকতেন বাড়িতে। প্রতিবেশীদের দাবি গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়িতে কোনও ঝামেলা হয়েছিল, তার শব্দ শুনেছিলেন তারা। তারপর রাত ১ টা নাগাদ জোরে আওয়াজ শুনে বেরিয়ে দেখেন নাবালিকা পড়ে রয়েছেন ফ্ল্যাটের বাইরে রাস্তায়। অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রতিদিনই মদ্যপান করতেন ওই ব্যক্তি। মেয়েটি ছোট থাকাকালীন মা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পরিবারে বাবা মেয়ে ঠাকুমা ও কাকু থাকতেন। ঠাকুমা মারা যান। তারপর কোভিডে ২০২০ সালে কাকা মারা যাওয়ার পর বাবা ও মেয়ে থাকতেন ওই বাড়িতে।
আরও পড়ুন: Hemtabad: হেমতাবাদে খড়ের গাদায় তৃণমূল কর্মীর ভাইপোর অগ্নিদগ্ধ দেহ
প্রতিবেশীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার
নিচে পড়ে যাওয়ার পরই তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এম.আর বাঙুর হাসপাতালে। এরপরই প্রতিবেশী সংযুক্তা চক্রবর্তী ও অমিত চক্রবর্তী যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতিবেশীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই মেয়েকে বারান্দা থেকে ফেলে দিয়েছিলেন চিন্ময়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেন নিজের মেয়েকে বারান্দা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন চিন্ময় তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খুন করতেই নিজের মেয়েকে ধাক্কা
ঘটনাটির পেছনে আসল কী কারণ রয়েছে তা জানার জন্য ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান , খুন করতেই নিজের মেয়েকে ধাক্কা মেরেছিলেন চিন্ময়। ওই নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এখনও তাঁর বয়ান নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর নাবালিকার বয়ানেই পুরো ঘটনাটি স্পষ্ট হয়ে যাবে এবং এই ঘটনার কারণ জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।