ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিহারের সমস্তিপুরে ঘটে গেল এক হাড় হিম করা ঘটনা (Father Killed Daughter)। এক বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলো নিজের মেয়েকে হত্যার। প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন মেয়ে। যুবক আবার ভিন্ন জাতের। তারপরই মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে এনে খুন করে দেহ পরিত্যক্ত বাথরুমে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এটি ‘সম্মানরক্ষার্থে’ খুন। বিহারের সমস্তিপুরের বুধবার ওই ব্যক্তির বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।
বাথরুমে দেহ ঢুকিয়ে তালাবন্ধ (Father Killed Daughter)
মৃতার নাম সাক্ষী সিং। ২৫ বছর বয়সী যুবতী মার্চ মাসের শুরুর দিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে দিল্লিতে থাকা প্রেমিকের কাছে চলে যান (Father Killed Daughter)। যা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন তাঁর বাবা মুখেশ সিং। পরে তাঁকে ফিরিয়ে আনাও হয়। তারপর গত ৭ এপ্রিল তাঁকে খুন করে বাড়ির মধ্যেই একটি অব্যবহৃত বাথরুমে দেহ ঢুকিয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়েরা তরুণীর বাড়ির লোককে বিষয়টি জানান। তরুণীর বাবা ইতস্তত করতেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তখন তরুণীর পরিবারকে স্থানীয়রা জেরা করেন। পরিত্যক্ত বাথরুম খুলতেই তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তখন স্থানীয়েরাই পুলিশে খবর দেন।
ভিন্জাতের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম (Father Killed Daughter)
পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিন্জাতের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাক্ষীর। পাশের গ্রামেই থাকেন তিনি। সেই যুবকের সঙ্গে গত ৪ মার্চ পালিয়ে গিয়েছিলেন সাক্ষী। তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে কলেজেও পড়তেন। সেখান থেকেই আলাপ। পরিবার তাদের প্রেম কখনই মানেনি। সেই কারনের পালাতে বাধ্য হয়েছিল তারা (Father Killed Daughter)। কিন্তু অবশেষে বাবার হাতেই খুন হতে হল সাক্ষীকে।
আরও পড়ুন: Hot Air Balloon Accident: হট এয়ার বেলুনের দড়িতে আটকে গেল পা, উঁচু থেকে আছড়ে পড়ে মৃত্যু যুবকের
বুঝিয়ে বাড়িতেও নিয়ে আসেন
মৃতার মামা বিপিন কুমার জানিয়েছেন, সাক্ষী মার্চ মাসের ৪ তারিখ বাড়ি থেকে পালিয়ে দিল্লিতে ওঁর প্রেমিকের কাছে চলে যায়। ছেলেটি অন্য জাতের। সাক্ষী ওর প্রেমিকের বাড়ির কাছেই থাকছিল। ওঁরা একসঙ্গে কলেজে পড়ত। সেই থেকেই দু’জনের পরিচয়।
আরও জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে মুকেশ সিং সাক্ষীকে আনতে দিল্লিতে যান। তাঁকে বুঝিয়ে বাড়িতেও নিয়ে আসেন।
ধৃত খুনের কথা স্বীকার করেছে
৭ মার্চ বাড়ি ফিরে আসেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান সাক্ষী। এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে খোঁজ করেন সাক্ষীর মা। অভিযুক্ত জানায় মেয়ে আবার পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কথা-বার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় তাঁর। পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতেই সাক্ষীকে খুন করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃত খুনের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় সাক্ষীর বাবা মুকেশ সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।