ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিজের চার বছরের কন্যাসন্তানকে রাস্তায় আছাড় মেরে খুন! খুনের পর কৃষ্ণনগরের জলঙ্গি নদীর ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে (Father Kills Daughter)। ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নদীতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে শিশুর নিথর দেহ। মর্মান্তিক ঘটনা চাঞ্চল্য নদিয়া জেলার ধুবুলিয়া থানার মায়াকোল এলাকায়।
স্বামী-স্ত্রীর অশান্তির বলি শিশুকন্যা! (Father Kills Daughter)
পুলিস সূত্রে খবর, নদিয়ার ধুবুলিয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাহাদুরপুর মায়াকোল মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবু ঘোষ ওরফে বুদ্ধর সঙ্গে বর্ষা ঘোষের বিয়ে হয় সাত বছর আগে। তাদের চার বছরের কন্যা পিউ ঘোষকে নিয়ে সংসার চলছিল ঠিকঠাকই। অভিযোগ, স্ত্রী-র অন্যত্র সম্পর্ক আছে বলে কয়েকদিন সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। শুক্রবার হোলির দিন ও অশান্তি হয় (Father Kills Daughter)। স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়, রাতে বাড়ি ফিরে দেখে স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছে তার চার বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে। মেয়েই বলে, মা তার মামার বাড়ি চলে গিয়েছে। গত রাতে তারপরেই মেয়েকে মামার বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে মেয়ে নিয়ে বের হয় বাবু।
আরও পড়ুন: Murder: কিংবদন্তি ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে খুন! পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার
১২ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে নিয়ে গিয়ে জলঙ্গি সেতুর কাছে গিয়ে মেয়েকে প্রথমে রাস্তায় আছাড় মারে। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করতে জলঙ্গী নদীর ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ, স্থানীয়দের। এরপর বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত তার নিজের মাকে জানায়, তার মেয়েকে সে মেরে ফেলেছে (Father Kills Daughter)। একথা জানাজানি হতেই এলাকাবাসী অভিযুক্ত বুদ্ধ ঘোষকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোনওভাবেই মুখ খুলতে চায় না।
আরও পড়ুন: Bongaon Hospital: বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের শৌচালয় থেকে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ
ঘটনার পর গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর ধুবুলিয়া থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। উঠে আসে চমকপ্রদ তথ্য। কী স্বীকারোক্তি ‘বাবা’র? পুলিশের জেরার মুখে চার বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার গোটা ঘটনা স্বীকার করলেন বাবা বুদ্ধদেব ঘোষ (Father Kills Daughter)। ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে পাঠালো ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং এলাকাবাসী। যদিও শিশু কন্যার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।