ফ্যাটি লিভার কী?
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফ্যাটি লিভার হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগকে বলা হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)।
শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের কারণ (Fatty Liver in Children)
অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া। অতিরিক্ত চিনি ও প্রিজারভেটিভযুক্ত প্যাকেটজাত খাবার। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও অলস জীবনযাপন। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা (মোবাইল, টিভি, ট্যাব)।

ফাস্ট ফুড কেন বিপজ্জনক লিভারের জন্য? (Fatty Liver in Children)
এতে উচ্চমাত্রায় ফ্যাট, চিনি ও লবণ থাকে। শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে, যা ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে। লিভারে ৫%-এর বেশি ফ্যাট জমে গেলে সমস্যা শুরু হয়।
ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত শিশুদের ঝুঁকি
টাইপ-২ ডায়াবেটিস। উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ। ভবিষ্যতে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা ও লিভার সিরোসিস।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ (ডায়েটিশিয়ান রিচা শর্মা)
শিশুকে ঘরোয়া ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। খাদ্যতালিকায় রাখুন, সবুজ শাকসবজি, ফল, আস্ত শস্য, ডাল, দুধ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। ফাস্ট ফুড, চিনিযুক্ত পানীয় ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
জীবনধারায় পরিবর্তন দরকার, শিশুদের দৈনিক কমপক্ষে ১ ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম (খেলা, দৌড়, সাইক্লিং)। মোবাইল-টিভির সামনে সময় কমানো। সঠিক ঘুম ও পর্যাপ্ত জলপান নিশ্চিত করা।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি
বছরে অন্তত একবার শিশুদের লিভার ফাংশন টেস্ট করানো উচিত ( Fatty Liver in Children) । সময়মতো রোগ ধরা পড়লে সহজে প্রতিকার সম্ভব।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: লোকসভায় নতুন দায়িত্বে অভিষেক, পোস্ট করে ধন্য়বাদ দিদিকে!
শিশুদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য এখনই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাদ্য, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলার মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের মতো বিপজ্জনক রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। অভিভাবকদের উচিত সচেতনতা বাড়ানো ও শিশুদের সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করা।