ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টেক অফের পর মাত্র ৩০ সেকেন্ড। তারপরই ভয়াবহ দুর্ঘটনা(Ahmedabad Plane Crash)। ২৪২ জনকে নিয়ে আহমেদাবাদ থেকে ইংল্যান্ডের গ্যাটউইকগামী বিমান ধাক্কা মারে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। মৃত্যু কমপক্ষে ২৭৫ জনের। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন ঘটল এমনটা? দুর্ঘটনার নেপথ্যে কি থাকতে পারে নাশকতা? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্র।সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মোহোল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য (Ahmedabad Plane Crash)
বিমানের দু’টি ব্ল্যাকবক্স এখন পরীক্ষা করে দেখছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থা (এএআইবি)। তাদের দিল্লির দফতরেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা(Ahmedabad Plane Crash)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধর মোহোল আরও একবার জানিয়েছেন যে, পরীক্ষার জন্য এই ব্ল্যাক বক্স দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে না।মুরলীধর এনডিটিভিকে বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এএআইবি তদন্ত শুরু করেছে। সব দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এমনকি নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সংস্থা এই নিয়ে কাজ করছে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই দুর্ঘটনাকে ‘বিরল’ বলেও বর্ণনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘এক সঙ্গে দু’টো ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনও হয়নি।’

তদন্ত রিপোর্ট (Ahmedabad Plane Crash)
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হলে আমরা জানতে পারব, যে ইঞ্জিনের সমস্যা, না কি জ্বালানির জোগানের কারণে বিমানের দু’টি ইঞ্জিন এক সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়(Ahmedabad Plane Crash)। দুই পাইলটের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল, তা ব্ল্যাকবক্সের সিভিআর (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার)-এ রেকর্ড করা রয়েছে। এখনই এই নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে। রিপোর্ট প্রকাশিত হবে তিন মাসের মধ্যে।’ভারতের তরফে ওই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ, এয়ারক্র্যাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো, ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি, এই তিন সংস্থা। মুরলীধর মোহল বলছেন, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
আরও পড়ুন-Shubhanshu Shukla: মহাকাশ স্টেশনে কেমন আছেন শুভাংশু? প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন ভারতীয় নভশ্চর
বিরোধী শিবিরের দাবি (Ahmedabad Plane Crash)
ওড়ার ঠিক ৩০ সেকেন্ড পর কীভাবে ভেঙে পড়ল বিমান? এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এয়ারবাস উড়ানের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ(Ahmedabad Plane Crash)। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটল কীভাবে? নানা জনের নানা মত। কেউ কেউ বলছেন, বিমানের ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের ধারণা, ওড়ার পর যে কোনও কারণেই হোক, যে উচ্চতায় বিমানটি ওড়ার কথা ছিল, সেই উচ্চতায় সেটি ওঠেনি। কারও কারও ধারণা, বিমানটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেতে পারে। আবার কোনও কোনও মহল থেকে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্তর্ঘাতের তত্ত্বও ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণটা কী? সেটা স্পষ্ট হবে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য উদ্ধারের পর। তবে আপাতত বিরোধী শিবির পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাইছে।

আরও পড়ুন-Rajasthan: মাটির নিচে ইতিহাস! রাজস্থানে ৪,৫০০ বছরের প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান
দুর্ঘটনার কবলে বিমান (Ahmedabad Plane Crash)
গত ১২ জুন অহমদাবাদের মেঘানি নগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান(Ahmedabad Plane Crash)। লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক ছিল বিমানটির গন্তব্য। বিমানে সওয়ার ছিলেন ২৪২ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ২৪১ জন।মৃতদের মধ্যে বহু বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। বিমানটি চিকিৎসকদের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়েছিল। সেখানে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়ানের পাঁচ মিনিটের মাথায় কী ভাবে সেই বিমান ভেঙে পড়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
