ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার এবং স্বাধীনতা নিয়ে প্রায়শই নতুন বিতর্ক (Female Genital Mutilation) তৈরি হয়। বিশেষ করে, মুসলিম নারীদের অবস্থান ও অধিকার নিয়ে বিভিন্ন মতামত লক্ষ্য করা যায়। এই প্রথাকে অনেকেই ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অংশ হিসেবে দেখেন, আবার অনেকে মনে করেন কুসংস্কারের প্রতীক হল এই প্রথা। সাম্প্রতিক সময়ে, নারীদের এই যন্ত্রণাদায়ক খতনা (Female Genital Mutilation, FGM) বিশ্বব্যাপী তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘন? (Female Genital Mutilation)
খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার (Female Genital Mutilation) হয়েছেন। তিনি নারীদের খতনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নারীদের অধিকার, সাম্য এবং সুযোগের জন্য এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। তার এই মন্তব্য বিশ্বব্যাপী খতনার প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করেছে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
পবিত্র করার প্রক্রিয়া (Female Genital Mutilation)
নারীদের খতনায় নারীদের বাহ্যিক যৌনাঙ্গ (Female Genital Mutilation) কেটে ফেলা হয়। এটি একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক প্রক্রিয়া। মনে করা হয় এই প্রথা অবলম্বন করার ফলে নারীদের শরীর আরও পবিত্র হয় ও তারা বিবাহযোগ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু এই প্রথার ফলে আসলে তাদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর জন্য নারীরা শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি মানসিক এবং সামাজিক অত্যাচারের শিকার হন।
আরও পড়ুন: AC Cleaning : গরম পড়তেই এসি চালাচ্ছেন ? এই বিষয়গুলি দেখে নিয়েছেন কি ?
প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, যেমন ভারত, মিশর, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অঞ্চলে এই প্রথা এখনও প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে, ভারতে বোহরা সম্প্রদায়ের মধ্যে নারীদের খতনার প্রথা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মিশরে ২০০৮ সালে এই প্রথার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, অনেক জায়গায় এখনও এটি চালু রয়েছে। জাতিসংঘ এই প্রথাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। প্রতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি “ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ জিরো টলারেন্স ফর এফজিএম” পালন করা হয়, যাতে এই প্রথার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো যায়।
তিন তালাক বিলুপ্তি
নারীদের অধিকার নিয়ে বিতর্কের মধ্যে, ভারতে তিন তালাক বিলুপ্তির পর মুসলিম নারীরা কিছুটা হলেও মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন। তবে, প্রশ্ন উঠছে, ইসলাম কি নারীদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেয়? যদি হ্যাঁ হয়, তবে আজও এই প্রথা আছে কেন?

মানবতার কলঙ্ক
এই ধরনের প্রথা কেবল নারীদের দুর্বল করে না, বরং পুরো সমাজ ও মানবতার জন্য একটি কলঙ্ক। সমাজে এই ধরনের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের অবশ্যই এই প্রথাগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।