ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রবিবার দুপুরে কলকাতা (Fire at AC Bus) বিমানবন্দরের কাছে এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থাকল শহরবাসী (Fire at AC Bus)। যাত্রীবোঝাই সরকারি একটি এসি বাসে চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ আগুন লেগে যায়। বাসটিতে থাকা প্রায় ২৫-৩০ জন যাত্রী অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন। যদিও ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি, তবে মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
আচমকা বাসের ভেতরে ধোঁয়া (Fire at AC Bus)
ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর প্রায় বারোটার সময় (Fire at AC Bus)। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি এসি বাস বারাসত থেকে গড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। দমদম বিমানবন্দর সংলগ্ন এয়ারপোর্ট হোটেল ক্রসিংয়ের কাছে পৌঁছতেই আচমকা বাসের ভেতর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। মুহূর্তেই বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেন চালক। তার পরেই বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত! (Fire at AC Bus)
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল ও পুলিশ (Fire at AC Bus)। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা বাসটিকে সম্পূর্ণভাবে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে পারলেও বাসের গা প্রায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অনেকে জানিয়েছেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কারণ, এসি বাসের দরজা সাধারণ বাসের তুলনায় কম এবং ধীরে খোলে, ফলে অনেকেই শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশে ভয় পেয়ে যান। যাত্রীদের দাবি, আগুন যদি আর একটু দেরিতে লাগত, তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
আগুন লাগল কীভাবে
পুলিশ এবং দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ঠিক কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বাসের ভিতরে কোনও বৈদ্যুতিক ত্রুটি, অর্থাৎ শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: RG Kar Protest: মাথায় লেগেছে চোট, কেমন আছেন অভয়ার মা?
বাসের চালক এবং অন্যান্য কর্মীদের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে এই ঘটনার পর সরকারি পরিবহণের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। বিশেষ করে এসি বাসগুলিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কতটা সচল, তা নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।