ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত অল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক (Fire at Lahore Airport) বিমানবন্দরে শনিবার সকালে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এক দুর্ঘটনা। পাক বায়ুসেনার একটি বিমানের অবতরণের সময় তার চাকায় আগুন ধরে যায় এবং তা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রানওয়ের একাংশে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় বিমানবন্দর চত্বরে।
সাময়িকভাবে বন্ধ রানওয়ে (Fire at Lahore Airport)
ঘটনার পরই প্রায় সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে (Fire at Lahore Airport) স্থানীয় সূত্র। রানওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য দ্রুত সেখানে পৌঁছয় দমকল বাহিনী এবং তড়িঘড়ি জল ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু হয়।
বিমানবন্দরের বিস্তীর্ণ এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে (Fire at Lahore Airport)
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি এবং ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিমানবন্দরের বিস্তীর্ণ এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে (Fire at Lahore Airport)। যাত্রীরা আতঙ্কিত অবস্থায় এক পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দমকল কর্মীরা ধোঁয়ার মধ্যে দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই।
আগুন আপাতত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে
পাক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আগুন আপাতত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে ধোঁয়ার কারণে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। বিমান পরিষেবা কবে থেকে স্বাভাবিক হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, আপাতত কোনও বিমান ছাড়বে না, এবং যেসব বিমান লাহোরে নামার কথা ছিল, সেগুলিকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিপজ্জনক দুর্ঘটনা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি যখন রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করছিল, তখনই আচমকা তার এক চাকা থেকে আগুন বের হতে দেখা যায়। রানওয়ে স্পর্শ করার আগেই আগুন জ্বলে ওঠে এবং মাটিতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তা আরও ছড়িয়ে পড়ে। কিভাবে এমন বিপজ্জনক দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে প্রবল উত্তেজনা
এই ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর ভারতের কড়া অবস্থানের জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক টানাপোড়েন চরমে। ভারত সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে, পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
সবমিলিয়ে লাহোর বিমানবন্দরের এই আগুন শুধু একটি দুর্ঘটনাই নয়, এক অস্থির রাজনৈতিক পটভূমির মধ্যেও ঘি ঢেলে দিল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।