ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘদিনের খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে (Food Crisis in Gaza) ধুঁকছে গাজা। আন্তর্জাতিক মহলের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে কিছুটা নরম হল ইজরায়েল। গাজায় সাময়িক সামরিক বিরতির ঘোষণা করে শুরু হল আকাশপথে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ।
বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি (Food Crisis in Gaza)
শনিবার রাতে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান থেকে খাবারের (Food Crisis in Gaza) বস্তা ফেলা হয়। তবে এই প্রক্রিয়ায় আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একটি খাবারের বস্তা গিয়ে পড়ে একেবারে শরণার্থী তাঁবুর উপর, যার ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।ইজরায়েলি সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, সাতটি বস্তায় ময়দা, চিনি ও ক্যানজাত খাবার ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা মাত্র পাঁচটি বস্তা পেয়েছেন। বাকি দুটি এমন জায়গায় পড়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের পক্ষে পৌঁছনো সম্ভব নয়।
নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘কৌশলগত বিরতি’ (Food Crisis in Gaza)
এই প্রক্রিয়াকে ‘ত্রাণ বর্ষণ’ বলে উল্লেখ করলেও, বিশ্লেষকদের মতে (Food Crisis in Gaza), এই উদ্যোগ গাজার ভয়াবহ খাদ্য সংকটের সামনে অতি ক্ষুদ্র একটি পদক্ষেপ মাত্র। রবিবার থেকে আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা (IDF)। গাজায় তিনটি নির্দিষ্ট এলাকায়-আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা শহরে-প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সামরিক কার্যকলাপে বিরতি দেওয়া হবে। এই সময়ে চালু থাকবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও, যাতে ত্রাণ কার্য চালানো সহজ হয়। যদিও সেনাবাহিনী স্পষ্ট জানিয়েছে, সামগ্রিক সামরিক অভিযান থামানো হচ্ছে না-শুধু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘কৌশলগত বিরতি’ দেওয়া হবে।
ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা অব্যাহত
এদিকে, গাজার একমাত্র জল বিশুদ্ধকরণ কেন্দ্রটি গত মার্চ থেকে বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ না থাকায়। রবিবার সেই কেন্দ্রেও আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এই সব উদ্যোগ সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক স্তরে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনা অব্যাহত। অনেকেই বলছেন, গাজার মানুষ পরিকল্পিত দুর্ভিক্ষের শিকার। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, ইজরায়েলের দেওয়া সাহায্য অত্যন্ত অপ্রতুল। শিশুদের অপুষ্টি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে, এবং খাবারের অভাবে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
এই অবস্থানের কড়া সমালোচনা
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যদিও বরাবরই এই সমালোচনার জবাবে বলেন, ত্রাণসামগ্রী হামাসের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় তিনি সীমিত সহায়তা চালু করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ থেকে শুরু করে ইউরোপীয় দেশগুলির নেতারাও এই অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন।