ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অস্বাস্থ্যকর লোভনীয় খাবারে ক্ষণিকের (Food for Happy Mood) স্বস্তি, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে মন ও শরীর দুটোতেই পরে কুপ্রভাব। চকোলেট পেস্ট্রি, চিপ্স, বা বিরিয়ানি এইসব ‘কমফোর্ট ফুড’ আমাদের মুড ভালো করতে পারে ঠিকই, কিন্তু বারবার এগুলো খাওয়া মানে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি বাড়ানো।
মনখারাপ বা অবসাদের উপসর্গ (Food for Happy Mood)
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মতে, সুস্থ শরীরের সঙ্গে মানসিক সুস্থতা ওতপ্রোতভাবে (Food for Happy Mood) জড়িত। খাদ্য তালিকায় থাকা প্রয়োজন ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ উপাদান, যেগুলি সরাসরি প্রভাব ফেলে মেজাজ ও আবেগের উপর। যেমন, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে দেখা দিতে পারে মনখারাপ বা অবসাদের উপসর্গ।
রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির (Food for Happy Mood)
পুষ্টিবিদ জানান, দিনের শুরুটা যদি সঠিকভাবে হয়, তাহলে দেহের ক্লান্তি (Food for Happy Mood) যেমন কমবে, তেমনই মন থাকবে সতেজ। তাঁর মতে, সকালের খাবারে থাকা উচিত কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যেমন মিলেট, ওটস বা ব্রাউন রাইস, যেগুলি ধীরে হজম হয় ও রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে।
কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদাম
সঙ্গে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রোটিন ডাল, সয়াবিন, টোফু, পনির, কাবলি ছোলা ইত্যাদি যা শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে। বাদাম, যেমন কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদাম, এবং নানা ধরনের বীজ যেমন তিসি, চিয়া, তিল, কুমড়োর বীজ, এইসব ‘গুড ফ্যাট’-এ সমৃদ্ধ খাবার মন ভালো রাখতে সহায়ক।
ফলমূল, শাকসবজি
মন-মেজাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। এগুলির অভাবে শরীরে দুর্বলতা, উদ্বেগ এবং মনোসংযোগের অভাব দেখা যায়। তাই ফলমূল, শাকসবজি এবং প্রচুর জল গ্রহণে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আরও একটা দিক হলো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা পাওয়া যায় তিসি বীজ, আখরোট, চিয়া বীজে। এর মধ্যে থাকা ইপিএ ও ডিএইচএ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে মেজাজ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাখে ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, দুধ, বিন, কড়াইশুঁটি ও সয়াবিন। ডোপামিন ও সেরোটোনিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্য বজায় রাখতেও এই পুষ্টিগুলি অপরিহার্য।
শেষ কথা, শান্ত মন চাইলে এক কাপ ক্যামোমাইল বা তুলসী চা হতে পারে সহজ সমাধান। এইসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে শরীর যেমন থাকবে সক্রিয়, তেমনই মনও থাকবে হালকা ও আনন্দে ভরপুর। তাই, পছন্দের খাবার নয়, পছন্দের জীবনের দিকে এগোন—সচেতন খাবার বেছে নিয়ে।