সোমনাথ ঘোষ, হুগলি: শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ। দেবীপক্ষের শুরু থেকেই কলকাতার একাধিক বড় পুজো মণ্ডপে শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং। তবে শুধু শহরজুড়ে পুজোর আবহ নয়। জেলায় জেলায়ও চলবে আগমনীর বার্তা। এমনই ছবি ধরা পড়ল চুঁচুড়ার হালদারবাগান জনকল্যাণ সমিতির পুজোয়। ৬৮তম বর্ষে এবার আগমনীর ছবি। হালদারবাগান জনকল্যাণ সমিতির পুজো ঘিরে সাজ-সাজ রব।
বিগত ১০ বছর ধরে হালদারবাগান জনকল্যাণ সমিতির পুজো করে আসছেন পাড়ার মহিলারাই। পাড়ায় পাড়ায় চাঁদা কাটা থেকে পুজোর প্রতিমা বায়না দেওয়া সবটাই মহিলারা দায়িত্ব নিয়ে করেন। পুজোর এই সময় বিভিন্ন কাজের জন্য বাড়ির কাজে খামতি হয় সেটা মেনে নেন পাড়ার সবাই।
হালদারবাগান মহিলা পরিচালিত পুজোয় এবারের থিম ‘আগমনী’। মায়ের আগমনী বার্তা দিতে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মণ্ডপ তৈরীতে ব্যবহার করা হয়েছে লাল পাড় সাদা শাড়ি, শাখা পলা, প্রতিমার মুখ। মণ্ডপ জুড়ে বিভিন্ন বৈদিক শ্লোক লেখা। যাতে দেবীর আগমনী সূচিত করে।
পুজোর সময় চার দিন ধরে চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোর সময় হাঁড়ি চড়ে না সদস্যদের বাড়িতে। বারোয়ারীতলাতেই হয় খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। নবমীর দিন ভোগ বিতরণ করা হয়। খিচুরি, আলুর দম, পায়েস, চাটনি, পাঁপড় থাকে ভোগের মেনুতে। পুজোর কটা দিন হৈ-হুল্লোর করে কাটে সকলের। দশমীতে বেজে ওঠে বিষাদের সুর। যে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় তিন মাস আগে থেকে। সেই পুজোর কিংবা যাই হোক, শেষে মন খারাপ হয় সকলের। আবার এটা ভেবে ভালোও লাগে, আসছে বছর আবার হবে। তাই মন বলে ওঠে আবার এসো মা।