প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বামফ্রন্ট শাসনের শেষ মুখ্যমন্ত্রীর জীবনাবসান

তকাল রাত থেকেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। পরিবারের তরফে জানা গেছে, সকালেও বুদ্ধদেব প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানুন বিস্তারিত...

প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বামফ্রন্ট শাসনের শেষ মুখ্যমন্ত্রীর জীবনাবসান
file image

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রয়াত বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকাল ৮:২০ মিনিটে পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বামফ্রন্ট শাসনের শেষ মুখ্যমন্ত্রী। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর খবর জানান তাঁর সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। 

শারীরিক সমস্যার জন্য ১১ বছর ধরে ঘরবন্দি ছিলেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা-তে ভুগছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একাধিকবার হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। মরশুম বদলের সময়ই বুদ্ধবাবুর শ্বাসকষ্ট বাড়ত। গতকাল রাত থেকেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। পরিবারের তরফে জানা গেছে, সকালেও বুদ্ধদেব প্রাতঃরাশ করেছিলেন। তার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/BSF-Issued-high-alert-due-to-ongoing-situations-of-Bangladesh

বাম রাজনীতির অন্তিম নক্ষত্র পতন। পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বাম জমানার দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পরিবারে ১৯৪৪-এ উত্তর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব। 

বুদ্ধদেব সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য হন সত্তরের দশকের গোড়ায়। নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় জ্যোতি বসুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বুদ্ধদেব। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে জ্যোতি বসুর সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ২০০০-তে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জ্যোতি বসু সরে দাঁড়ালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০০১ থেকে ২০০৬ এবং ২০০৬ থেকে ২০১১, পর পর দুবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে ২০১১-তে প্রবল তৃণমূল হাওয়ায় নিজের দীর্ঘদিনের গড় যাদবপুরেই পরাজিত হন তিনি।