Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron) নিজের ঘনিষ্ঠ অনুগামী ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন(France New PM)। সোমবার আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেরু। এর পরই মাক্রোঁর পছন্দের তালিকায় উঠে আসে সেবাস্তিয়ানের নাম।
অর্থনৈতিক সঙ্কটেই মূল ধাক্কা (France New PM)
ফরাসি সংসদের ৫৭৭ সদস্যের মধ্যে ৩৩১ জন বেরুর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেন(France New PM)। নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান দৈনন্দিন খরচ ও অর্থনৈতিক সঙ্কটই তাঁর সরকারের পতনের প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল র্যালি দল এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী সুর চড়ায়। বেরু নিজের আর্থিক পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করলেও সংসদকে রাজি করাতে পারেননি।
মাক্রোঁর ভরসার মানুষ সেবাস্তিয়ান(France New PM)
৪৬ বছর বয়সি সেবাস্তিয়ান লেকর্নু বেরুর মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন(France New PM)। শিল্পমহলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে চাপে পড়া অর্থনীতি সামলানো এবং বিভক্ত জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখা তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের একনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবে মাক্রোঁর কৌশল বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

আরও পড়ুন : Nepal Gen Z Protest : নেপালের সহিংসতা তাঁদের নয়,বহিরাগতদের পরিকল্পিত! অভিযোগ আন্দোলন তরুণদের
টালমাটাল ফরাসি রাজনীতি(France New PM)
মাত্র ন’মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে হলো ফ্রান্সকে(France New PM)। এর আগে ডিসেম্বর মাসে মাইকেল বার্নিয়ের আস্থা ভোটে হেরে যান। ১৯৫৮ সালে পঞ্চম ফরাসি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর এত কম সময়ের ব্যবধানে পরপর দুই প্রধানমন্ত্রী পদ হারানোর নজির আগে ছিল না। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সামনে কঠিন পথ
ফ্রান্সের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ—মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান সঙ্কট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব—মোকাবিলা করাই হবে সেবাস্তিয়ানের প্রধান পরীক্ষা(France New PM)। পাশাপাশি, মাক্রোঁর শাসকজোটে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোও তাঁর জন্য বড় দায়িত্ব। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী যদি স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যর্থ হন, তবে ফরাসি রাজনীতিতে আরও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন : CJI Gavai On Nepal Unrest : নেপাল প্রসঙ্গে দেশের সংবিধান নিয়ে গর্ব প্রকাশ করলেন বিচারপতি গবই
ফরাসি সংসদের ৫৭৭ সদস্যের মধ্যে ৩৩১ জন বেরুর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেন। নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান দৈনন্দিন খরচ ও অর্থনৈতিক সঙ্কটই তাঁর সরকারের পতনের প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল র্যালি দল এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী সুর চড়ায়। বেরু নিজের আর্থিক পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করলেও সংসদকে রাজি করাতে পারেননি।